বালাসোর, 9 অক্টোবর: বালাসোর বিপর্যয় পর কেটে গিয়েছে চারমাস ৷ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে 297 জনের ৷ এতদিন পর এখনও 28 জনের দেহ অশনাক্ত থেকে গিয়েছে। ওই দেহগুলির কোনও দাবিদার অর্থাৎ আত্মীয় থেকে শুরু করে পরিবার পরিজনকে পাওয়া যায়নি। কিন্তু আর অপেক্ষা করা হবে না। ভুবনেশ্বর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ রবিবার জানিয়ে দিল আগামিকাল, মঙ্গলবার ওই দেহগুলির সৎকার করা হবে। প্রশাসনের তরফে এও জানানো হয়েছে, দেহগুলি আর সংরক্ষণ করা যাবে না, তাই এমন সিদ্ধান্ত ৷
ওই দেহগুলি এতদিন ভুবনেশ্বর এইমসে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করে রাখা ছিল। রবিবার ভুবনেশ্বর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (বিএমসি) জানিয়েছে, যেহেতু দেহগুলির কোনও উপযুক্ত দাবিদার পাওয়া যায়নি, এবার দেহগুলি প্রশাসনের উদ্যোগেই দাহ করা হবে। বিএমসি'র মেয়র সুলোচনা দাস সাংবাদিকদের গতকাল বলেন, "সিবিআই আধিকারিকদের উপস্থিতিতে মৃতদেহগুলি কর্পোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হবে ৷ মঙ্গলবার তাঁদের দেহ সৎকার করার পরিকল্পনা করা হয়েছে ৷"
দুর্ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। তাই ওই দেহগুলি সিবিআইয়ের উপস্থিতিতে পুরসভার হাতে তুলে দেওয়া হবে। মঙ্গলবার দেহগুলি সৎকারের পরিকল্পনা চলছে বলে জানানো হয়েছে। গোটা প্রক্রিয়াটি ভিডিয়োগ্রাফির মাধ্যমে রেকর্ড করা হবে ৷ সিবিআইয়ের তরফেই অশনাক্ত দেহগুলি সৎকারের জন্য খুরদা জেলাশাসককে চিঠি লেখা হয়েছিল। এমস থেকে দেহগুলি সুষ্ঠুভাবে যাতে শ্মশান পর্যন্ত নিয়ে আসা হয়, তা নিশ্চিত করার অনুরোধও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
গত 2 জুন ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে বাহানগা বাজার স্টেশনে লাইনচ্যুত হয়েছিল চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস। উলটো দিক থেকে আসা বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস এবং একটি মালগাড়িও একইসঙ্গে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়। এই দুর্ঘটনায় 297 জনের মৃত্যু হয়েছে। 162টি মৃতদেহ এমসে সংরক্ষণের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে প্রথম পর্যায়ে 81টি দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বাকি 53টি দেহ ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করে হস্তান্তর করে দেওয়া হয়। তারপরেও 28টি দেহ পড়ে ছিল।
আরও পড়ুন:করমণ্ডল দুর্ঘটনার 30 দিন পর কাকদ্বীপে দেহ ফিরল নিখোঁজ দুই যাত্রীর