দাহোদ (গুজরাত), 15 সেপ্টেম্বর: ফের প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ভয়াবহ আগুন ৷ শুক্রবার গুজরাতের দাহোদে একটি ট্রেনে আগুন লাগে ৷ যদিও ঘটনায় হতাহতে কোনও খবর নেই ৷ সকল যাত্রীকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷
রেল আধিকারিক সূত্রে খবর, জাকোত স্টেশনের কাছে আচমকাই দাহোদ-আনন্দ মেমু ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন লেগে যায় ৷ সেখান থেকেই গোটা বগিতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে ৷ শর্টসার্কিট থেকেই এই আগুন লাগে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান ৷ মেমু ট্রেন হলো ইলেকট্রিক মাল্টিপল-ইউনিট ট্রেন যা স্বল্প ও মাঝারি-দূরত্বে চলাচল করে ৷ দুর্ঘটনাবিধ্বস্ত ট্রেনটি গোধরার দিকে যাচ্ছিল ৷ ঠিক সেই সময়ে জাকোত স্টেশনে এই ভয়াবহ ঘটনা ৷
ট্রেনের বগিতে আগুন লাগার খবর ছড়িয়ে পড়তেই যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ৷ তড়িঘড়ি তাঁরা ট্রেন থেকে নামার চেষ্টা করেন ৷ ঘটনাস্থলে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে যান কয়েকজন ৷ দূর থেকে আগুনের ধোঁয়া দেখতে পেয়ে ছুটে আসেন এলাকাবাসীরা ৷ তবে এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর সামনে আসেনি ৷
আগুন লাগা মাত্রই খবর দেওয়া হয় দমকলকর্মীদের ৷ তৎপরতার সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন কর্মীরা ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন দাহোদের পুলিশ ও রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ৷ তিনি জানিয়েছেন, আগুন লাগে ট্রেনের একদম শেষ বগিতে ৷ বাকি বগিগুলি সুরক্ষিত রয়েছে ৷ এর আগে এপ্রিলেও গুজরাতের বোটাদ স্টেশনে লোকাল ট্রেনে আগুন লাগার খবর সামনে এসেছিল ৷ যদিও সেই ঘটনাতেও হতাহতের তথ্য নেই ৷ জুলাই মাসেও তেলঙ্গনার ফলকনুমা এক্সপ্রেসটিতে আগুন লেগে যায় বোমাইপালি এবং পাগিদিপল্লি স্টেশনের মাঝামাঝি এলাকায়। পরপর তিনটি বগিতে আগুন লেগেছিল। হতাহতের কোনও খবর সেখানেও ছিল না ৷ তবে বারবার রেলের বগিতে আগুন লাগায় প্রশ্ন উঠেছে নিরাপত্তা নিয়ে ৷ কেন একই ঘটনা বারবার ঘটে চলেছে, ভাবাচ্ছে রেলকে ।
আরও পড়ুন: সরকারি হিসেবে 4 মাসে মণিপুরে 175 জনের মৃত্যু, আহত হাজার পার; নিখোঁজ 32