নয়াদিল্লি, 16 জানুয়ারি: সুপ্রিম কোর্টে তাঁর বিরুদ্ধে করা স্কিল ডেভেলপমেন্ট কেলেঙ্কারির মামলা বাতিলের আবেদন করেছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু ৷ মঙ্গলবার এই মামলা বাতিলের আবেদন প্রধান বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠাল বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস এবং বেলা এম ত্রিবেদীর ডিভিশন বেঞ্চ ৷ শীর্ষ আদালতের এই বেঞ্চ দুর্নীতি প্রতিরোধ (পিসি) আইনের ধারা 17এ-এর প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করেছে । তাই বিচারপতি ত্রিবেদী বলেন, "বিষয়টি বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠাতে হবে ।"
17এ ধারাতে একটি সংশোধনীর মাধ্যমে 26 জুলাই 2018 সাল থেকে কার্যকর করা হয়েছিল ৷ এই বিধান অনুযায়ী, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের অধীনে একজন সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে তদন্ত করার জন্য পুলিশ অফিসারের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হবে এবং তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার জন্য এই অনুমোদন নেওয়া বাধ্যতামূলক ৷
বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস এ দিন বলেছেন, "দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের অধীনে পুলিশের অনুমোদন নেওয়ার প্রয়োজন ছিল ৷ যা তারা নেয়নি । কর্তৃপক্ষ এখন অনুমোদনের জন্য আবেদন করতে পারে ৷ তবে আইপিসির ধারার অধীনে মামলা চলবে ।" কিন্তু বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী বলেন, "প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা চালিয়ে যাওয়ার জন্যউপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনও অনুমোদনের নেওয়ার প্রয়োজন নেই । বিচারপতি বোস রিমান্ডের নির্দেশ বাতিল করতে অস্বীকার করেন ।" তিনি বলেন, "অনুমোদনের অভাবে রিমান্ডের নির্দেশ বাতিল হবে না ।" বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী এ বিষয়ে ভিন্ন মত পোষণ করেন । দুই বিচারপতির এই ভিন্ন মতের জন্য মামলাটি বাতিলের আবেদন বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানো হয় ৷
2023 সালের 22 সেপ্টেম্বর অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্ট চন্দ্রবাবু নাইডুর বিরুদ্ধে করা এফআইআর বাতিল করতে অস্বীকার করে ৷ হাইকোর্টের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ৷ বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস এবং বেলা এম ত্রিবেদীর ডিভিশন বেঞ্চ গত বছরের 17 অক্টোবর নাইডুর আবেদনে এই রায়কে সংরক্ষণ করেছিল ।
আরও পড়ুন:
- সিআইডি'র তিনটি মামলাতেই চন্দ্রবাবু নাইডুকে জামিন দিল অন্ধ্র হাইকোর্ট
- চন্দ্রবাবু নাইডুর মামলা থেকে সরলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি
- 30 নভেম্বর পর্যন্ত চন্দ্রবাবু নাইডুর রক্ষাকবচের মেয়াদ বৃদ্ধি সুপ্রিম কোর্টের