চণ্ডীগড়, 22 অগস্ট: 2024 সালের লোকসভা নির্বাচনে লড়বেন না গুরুদাসপুরের সাংসদ তথা বলিউড অভিনেতা সানি দেওল । একটি সাক্ষাৎকারে এমনটাই ঘোষণা করেছেন তিনি ৷ বক্স অফিসে এই মুহূর্তে রমরমিয়ে ব্যবসা করেছে তাঁর ছবি 'গদর-2' ৷ এই ছবির সাফল্যের পরেই রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নিতে চলেছেন ধর্মেন্দ্র পুত্র ৷ 2024 সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করে বরং অভিনেতা হিসেবেই পরবর্তী জীবন কাটাতে চান বছর 65-এর এই অভিনেতা ।
সানি দেওল বলেন, "আপনি একবারে একটি মাত্র কাজ করতে পারেন । আমি যখন রাজনীতিতে প্রবেশ করি তখন জানতাম এরকম সমস্যা আসবে ৷ তবে আমি অভিনেতা হিসেবে সেই সমস্যার সমাধান করতে পারব । কারণ মানুষ আমাকে ভালোবাসে । কিন্তু সেই অনুযায়ী কিছুই হয়নি ৷ তাই আমি অন্য কোথাও যেতে চাই । এখন আমি 2024 সালের কোনও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব না । কেবল অভিনেতা হিসেবেই আমার পরিচয় থাকবে । তবে একইভাবে দেশের সেবা করে যাব । আমি নিশ্চিত যে একজন অভিনেতা হিসেবে আমি তরুণ সমাজ ও দেশের আরও ভালোভাবে সেবা করতে পারব ।"
আরও পড়ুন:400 কোটির ক্লাবের কাছে সানি, নয়া মাইলফলকের সামনে 'ও মাই গড 2'
হিন্দি সিনেমার বিখ্যাত নায়ক সানি দেওল তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন 2019 সালে বিজেপির হাত ধরে ৷ এই বছরেই তিনি গুরুদাসপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচনের ময়দানে নামেন ৷ সানি নির্বাচনী প্রচারের সময় জনগণকে বড় বড় প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন ৷ সেই কারণেই গুরুদাসপুরের ভোটাররা বিপুল ভোটে জয়ী করে তাঁকে ৷ 84 হাজারের বিশাল লিড নিয়ে জিতেছিলেন তিনি ৷ কিন্তু তাঁর লোকসভা কেন্দ্রে মানুষের অভিযোগ, সেই সময় দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করেননি তিনি । এমনকী জেতার পর একবারও সানি দেওল নির্বাচনী এলাকায় যাননি ।
পাশাপাশি তিনি লোকসভা অধিবেশনে অনুপস্থিত থেকেছেন ৷ যদিও গুরুদাসপুরের লোকেরা আশা করেছিল, তিনি অধিবেশনে নির্বাচনী এলাকার সমস্যাগুলি তুলে ধরবেন । সানির এমন মনোভাবের কারণে লোকসভা কেন্দ্র গুরুদাসপুরের মানুষের তাঁর প্রতি প্রবল ক্ষোভ জন্মেছে । গুরুদাসপুরের যুবক অমরজোত সিং এবং কৃষক নেতা ইন্দরপাল সিং বেইনস সানি দেওলের বিরুদ্ধে মোর্চা খুলেছিলেন এবং বেশ কয়েকবার সানি দেওলের নিখোঁজ পোস্টার লাগিয়েছিলেন শহরজুড়ে ।
আরও পড়ুন:ব্যাংকে বকেয়া 55 কোটি, পরিশোধে নিলামে উঠছে সানির জুহুর সম্পত্তি
সাংসদ সানি দেওল লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে একটি চিঠি লিখে তাঁর সরকারি বাসভবন-সহ সমস্ত সুযোগ-সুবিধা ফিরিয়ে দিয়েছেন ৷ এমনকী তাঁর বেতন এবং সরকারি ভাতা বন্ধ করার দাবি করেছেন । তিনি জানান, এখন কোনও নির্বাচনেই তিনি আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না । শুধু অভিনেতা হিসেবেই কাজ করে যাবেন ৷ সানির কথায়, তাঁর পরিবারের সঙ্গে রাজনীতি শোভা পায় না । প্রথমে বাবা ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে একই জিনিস ঘটেছিল ৷ এখন তাঁর সঙ্গেও ঘটছে । তিনি জানান, বিজেপি যদি তাঁকে 2024 সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বলে তাও তিনি লড়লেন না । তিনি একবার চেষ্টা করে দেখেছেন । কিন্তু তিনি রাজনীতি করতে পারেন না এবং করতে চান না । এটাই তাঁর ইচ্ছা ।