শ্রীনগর, 22 মার্চ : কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে মোকাবিলা করার থেকেও অনেক বেশি চ্যালেঞ্জের পাথর ছোড়ার সমস্যা সামলানো ৷ কারণ, এর জেরে সাধারণ জীবনযাত্রায় ব্যাঘাত ঘটে ৷ আর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয় ৷
সোমবার এমনই মন্তব্য করেছেন কাশ্মীর পুলিশ জোনের আইজি বিজয় কুমার ৷ তিনি জানিয়েছেন, পাথর ছোড়ার ঘটনা আটকাতে পুলিশ সব সময় কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করে ৷ আর এই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জনসুরক্ষা আইনে মামলা দায়ের করা হয় ৷
জম্মু-কাশ্মীরের জঙ্গি হানার ঘটনা প্রায় দিনই ঘটে ৷ একই সঙ্গে পুলিশ ও সেনার অভিযানে জঙ্গিদের ধরপাকড়ও চলতেই থাকে ৷ তার সঙ্গে ভারতীয় সেনাকে লড়তে হয় নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপার থেকে আসা আক্রমণের বিরুদ্ধে ৷ সরকারের শীর্ষস্তর থেকে সাধারণ মানুষ, সকলেই মনে করেন যে জঙ্গি সমস্যাই কাশ্মীরে সবচেয়ে বড় সমস্যা ৷
কিন্তু সোমবার সোপিয়ানে জঙ্গি হামলা নিয়ে বিবৃতি দিতে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের এই শীর্ষ আধিকারিক যে মন্তব্য করলেন, তা স্পষ্ট হচ্ছে পাথর ছোড়ার বিষয়টিকেও প্রশাসন হালকা ভাবে কোনওদিনই নেয়নি ৷ 2010 সালে পাথর ছোড়ার ঘটনা সবচেয়ে বেশি মাথাচাড়া দিয়েছিল ৷ তখনও স্থানীয় পুলিশ বিষয়টিকে কড়া হাতে দমন করে ৷
তবে পাথর ছোড়ার ঘটনা রুখতে গেলে পেলেট গানের ব্যবহার নিয়ে বিতর্ক হয়েছে বহুবার ৷ ভূস্বর্গের নিরীহ মানুষ জখম হয়েছেন বলেও অভিযোগ ওঠে ৷ যদিও 2019 সালে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়ার পর থেকে সেভাবে আর পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটেনি ৷ পুলিশ ও প্রশাসন বিষয়টি কড়া হাতে মোকাবিলা করেছে ৷
আরও পড়ুন :সিবিআই তদন্ত চেয়ে শীর্ষ আদালতে পরমবীর
এদিন বিজয় কুমার জানান, সম্প্রতি পাথর ছোড়ার অভিযোগে 12 জনের বিরুদ্ধে জনসুরক্ষা আইন প্রয়োগ করা হয়েছে ৷ হুরিয়ত কনফারেন্সের নেতা মিরওয়াইজ উমর ফারুকের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ হয় শ্রীনগরে ৷ সেখান থেকে 49 জনকে গ্রেফতার করা হয় ৷ তার মধ্যে 12 জনের বিরুদ্ধে জনসুরক্ষা আইন দেওয়া হয়েছে ৷