নয়াদিল্লি, 25 অগস্ট: দোষীদের মুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলল খোদ সুপ্রিম কোর্ট ৷ বিলকিস বানোর গণধর্ষণে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত 11 জন দোষীকে 15 অগস্ট মুক্তি দিয়েছে গুজরাত সরকার ৷ সরকারের এই নীতি এবং দোষীদের মুক্তিকে চ্যালেঞ্জ নিয়ে সম্প্রতি সর্বোচ্চ আদালতে মামলা দায়ের করা হয় ৷ বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানিতে দেশের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানার নেতৃত্বে গঠিত বেঞ্চ জানায়, গুজরাতের নীতি অনুযায়ী দোষীরা মুক্তি পেতে পারে কি ? ধর্ষক-খুনিদের মুক্তি দেওয়া নিয়ে কী ভাবনাচিন্তা করেছে গুজরাত সরকার, তা জানতে চায় দেশের প্রধান বিচারপতি, বিচারপতি অজয় রাস্তোগি, বিচারপতি বিক্রম নাথের বেঞ্চ ৷ এই মামলায় 11 জন দোষীকেও অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত ৷ এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকার এবং গুজরাত সরকারের মতামত জানতে চেয়ে একটি নোটিস পাঠানো হয়েছে ৷ দু' সপ্তাহ পর এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা (Supreme Court issues notice to the Gujarat government seeking response over 11 convicts remission) ৷
মঙ্গলবার, 23 অগস্ট দেশের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা (Chief Justice of India, N V Ramana), বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি সি টি রবি কুমার একাধিক জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে রাজি হন ৷ প্রবীণ বাম নেত্রী সুভাষিণী আলি, শিক্ষাবিদ রুপ রেখা বর্মা, সাংবাদিক রেবতী লৌল গুজরাত সরকারের 11 জন ধর্ষক ও খুনিকে (11 rapists and murderers) ছেড়ে দেওয়াকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন ৷ অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভা সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Trinamul Congress MP Mahua Moitra) বিলকিস বানোর এই মামলায় গুজরাত সরকারের নীতিকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেন এবং মুক্তির নির্দেশ বাতিলের আবেদন জানান ৷
আরও পড়ুন: অন্তঃসত্ত্বা বিলকিস বানোর গণধর্ষণ ও 7 খুন, সাজাপ্রাপ্ত 11 জন দোষীর মুক্তি
বিলকিস বানো
2002-এর ফেব্রুয়ারি ৷ গুজরাতে গোধরায় অযোধ্য়া থেকে ফেরা একটি ট্রেনে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে ৷ এতে মারা যান 58 জন পুণ্যার্থী এবং করসেবক ৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জ্বলে ওঠে গোটা রাজ্য (Gujarat Riot 2002) ৷ 3 মার্চ, দাহোদ জেলায় লিমখেড়া তালুকায় রাধিকাপুর গ্রামে একদল দুষ্কৃতী বিলকিস বানোর পরিবারের উপর হামলা চালায় ৷ সেই সময় বানো 5 মাসের গর্ভবতী ছিলেন ৷ তখন তাঁর বয়স মাত্র 21 বছর ৷ তাঁকে গণধর্ষণ (Bilkis Bano Gangrape) করে তাঁর পরিবারের 7 জন সদস্যকে হত্যা করে দুষ্কৃতীরা ৷ এর মধ্যে তাঁর 3 বছরের মেয়েও ছিল ৷ পরিবারের অন্য 6 জন সদস্য পালিয়ে যেতে পেরেছিলেন ৷ আদালতে এটাই জানানো হয়েছিল ৷ এই ঘটনায় 2004 সালে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয় ৷
বিচার এবং মুক্তিপর্ব