বেঙ্গালুরু, 30 এপ্রিল:কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে তুলোধনা করলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ৷ সম্প্রতি নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে কংগ্রেস সভাপতি একটি মন্তব্য করেন, যা ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয় ৷ তার প্রেক্ষিতেই রবিবার কর্ণাটকে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন ৷ দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দলটি সুস্থ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ছিন্নভিন্ন করে দিচ্ছে বলে মত তাঁর ৷
27 এপ্রিল কর্ণাটকে বেঙ্গালুরুর কাছে কালাবুরাগিতে একটি জনসভায় মোদিকে বিষধর সাপের সঙ্গে তুলনা করেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা খাড়গে ৷ স্বভাবতই এ নিয়ে বিতর্কের ঝড় বয়ে যায় ৷ মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেছিলেন, "আপনারা ভুল করবেন না ৷ মোদি একটি বিষধর সাপের মতো ৷ আপনারা যদি ভুল করে চেটে ফেলেন, তাহলে মরে যাবেন ৷" এতে গেরুয়া শিবির মল্লিকার্জুন খাড়গেকে ক্ষমা চাইতে বলেন ৷ প্রধানমন্ত্রীর নামে বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ ওঠে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ৷ পরে অবশ্য একাধিক টুইট করে কংগ্রেস সভাপতি সাফাই দেন যে, এই মন্তব্য তিনি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে করেননি ৷ বরং নিশানা ছিল তাঁর মতাদর্শ ৷
খাড়গে টুইট করে লেখেন, বিজেপির বিভাজনের আদর্শ, অসাম্প্রদায়িকতা, ঘৃণা এবং দলিতদের প্রতি তাদের বৈষম্যমূলক আচরণ নিয়ে তিনি এমন 'বিষধর সাপ' মন্তব্যটি করেছেন ৷ তিনি ব্যক্তিগতভাবে নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করেননি ৷ কিন্তু তার রেশ এখনও কাটেনি ৷ রবিবার অশীতিপর মল্লিকার্জুনকে তাঁর মন্তব্যের জন্য একহাত নিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ৷ রবিবার কর্ণাটকে একটি নির্বাচনী জনসভায় তিনি বলেন, "প্রধানমন্ত্রী শুধুমাত্র একজন ব্যক্তিবিশেষ নন ৷ তিনি নিজেই একটা প্রতিষ্ঠান ৷ কংগ্রেস নেতারা যেভাবে তাঁকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করছে, তাতে তাঁরা সুস্থ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে ছারখার করে দিচ্ছে ৷"
এর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাইও কংগ্রেস সভাপতির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন ৷ তাঁর অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অপমান করাটা দেশের প্রাচীনতম দলটির অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷ তাঁরা পিছিয়ে পড়া শ্রেণি ওবিসিদেরও অসম্মান করে থাকে ৷ শুক্রবারই তেলেঙ্গানার বিজেপি ইন-চার্জ তরুণ চুঘ নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠি লিখে মল্লিকার্জুন খাড়গের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার আর্জি জানান ৷ আসন্ন কর্ণাটক নির্বাচনের প্রচারে তাঁর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করুক জাতীয় নির্বাচন কমিশন ৷ 10 মে কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচন ৷ 224 টি আসনের এই নির্বাচন ঘিরে কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে জোরদার লড়াই হবে বলে মনে করা হচ্ছে ৷ ফলাফল ঘোষণা 13 মে ৷
আরও পড়ুন: মাছে হাত দেওয়ায় মন্দিরের বাইরে দাঁড়িয়েই প্রার্থনা সারলেন রাহুল গান্ধি