মুজফ্ফরনগর, 26 অগস্ট: উত্তরপ্রদেশে ঘৃণার প্রচার করছে বিজেপি ৷ এই অভিযোগে সোশাল মিডিয়ায় সরব হলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি এবং দলের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢরা ৷ উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরনগরের একটি বেসরকারি স্কুলের ভাইরাল ভিডিয়োর বিষয় নিয়ে এই সমালোচনা করেছেন তাঁরা ৷ অভিযোগ সেই ভিডিয়োতে এক শিক্ষিকা ক্লাসের বাকি ছাত্রদের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক ছাত্রকে চড় মারতে নির্দেশ দিচ্ছেন ৷ এমনকি ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে উদ্দেশ্য করে আপত্তিকর মন্তব্যও করতে শোনা যায় ৷ এই ইস্যুতে উত্তরপ্রদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি তুলে ধরে বিজেপিকে নিশানা করেন রাহুল এবং প্রিয়াঙ্কা ৷
এ দিন রাহুল গান্ধি তাঁর টুইটে লেখেন, ‘‘নিষ্পাপ শিশুদের মনে বৈষম্যের বিষ বপন করা হচ্ছে ৷ শিক্ষাঙ্গনের মতো পবিত্র স্থান ঘৃণার বাজারে পরিণত হয়েছে ৷ দেশের জন্য এর থেকে খারাপ আর কিছু করতে পারেন না একজন শিক্ষিকা ৷’’ এই ইস্যুতেই বিজেপির প্রসঙ্গ টানেন রাহুল ৷ তিনি লেখেন, ‘‘এই একই কেরোসিন ছিটিয়ে চলেছে বিজেপি ৷ যা দেশের প্রতিটি কোনায় আগুন ধরাচ্ছে ৷ শিশুরা দেশের ভবিষ্যৎ - তাদের ঘৃণা করবেন না ৷ আসুন আমরা একসঙ্গে ভালোবাসতে শিখি ৷’’
রাহুল গান্ধির পাশাপাশি, প্রিয়াঙ্কা গান্ধিও মুজফ্ফরপুরের সেই ভিডিয়ো নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেছেন ৷ মহাকাশে ভারতের সাফল্যের প্রসঙ্গ টেনে উত্তরপ্রদেশের স্কুলের ওই ঘটনার নিন্দা করেছেন তিনি ৷ প্রিয়াঙ্কার বলেন, ‘‘ঘৃণা অগ্রগতির পথে সবচেয়ে বড় শত্রু ৷ যেখানে চাঁদে পৌঁছানো এবং প্রযুক্তি নিয়ে বর্তমানে আলোচনা হচ্ছে ৷ সেখানে এমন কিছু ঘটনা ঘটছে, যা দেশে ঘৃণার প্রাচীর তৈরি করছে ৷’’
আরও পড়ুন:চিনের জমি দখলের অভিযোগ নিয়ে রাহুলকে পালটা আক্রমণ বিজেপির
ভাইরাল হওয়া ভিডিয়ো অনুযায়ী (ভিডিয়োর সত্যতা ইটিভি ভারত যাচাই করেনি), একটি বেসরকারি স্কুলের এক শিক্ষিকা ছাত্রকে মারার জন্য ক্লাসের বাকিদের উস্কানি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ ৷ এই ঘটনায় মনসুরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ৷ পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে, ক্লাসের পড়া করে না আসায় শিক্ষিকা ওই ছাত্রকে মারছিলেন ৷ কিন্তু, শিক্ষিক যেভাবে দ্বিতীয় শ্রেণির এক পড়ুয়ার সঙ্গে আচরণ করছিলেন এবং তার উদ্দেশ্যে আপত্তিকর মন্তব্য করছিলেন, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷ এমনকি ক্লাসের বাকি পড়ুয়াদের ওই ছাত্রকে মারার জন্য উস্কানি দেওয়ার অভিযোগেও মামলা রুজু হয়েছে ৷ তবে, ওই ভিডিয়োতে থাকা শিক্ষিকাকে চিহ্নিত করা যায়নি বলে দাবি করেছে পুলিশ প্রশাসন ৷