দেহাত (কানপুর), 27 জুন : তিনদিনের কানপুর সফরে গেলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ (president ram nath kovind) ৷ রবিবার গ্রামের বাড়ি পারাউখে পৌঁছান তিনি ৷ সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার থেকে নামামাত্রই, তিনি মাথা নত করে নিজের গ্রামের মাটি স্পর্শ করেন । রাষ্ট্রপতি হওয়ার 4 বছর পর রামনাথ কোবিন্দ তাঁর গ্রামে এলেন ৷ সেখানে তাঁকে স্বাগত জানাতে গ্রামের প্রতিটি বাড়িকে সুন্দর করে সাজানো হয়েছিল ৷ গ্রামে পৌঁছে তিনি নিজের পুরনো স্মৃতিগুলিকে মনে করছিলেন ৷ তিনি স্ত্রী সবিতা কোবিন্দ এবং মেয়ের সঙ্গে গ্রামের পাথরী দেবীর মন্দিরে পুজো দেন ৷ এর পর পুরো গ্রামে ঘুরে সেখানকার বাসিন্দাদের অভিবাদন জানান ৷ সেই সময় রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্য়মন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং রাজ্যপাল আনন্দিবেন প্যাটেল ৷
রাষ্ট্রপতি পাথরী দেবীর মন্দিরে প্রায় 15 মিনিট ধরে পুজো দেন ৷ সব নিয়মরীতি মেনে মন্দিরের প্রধান পুরোহিত কৃষ্ণকুমার বাজপেয়ী পুজো করান ৷ পুজোর জন্য রাষ্ট্রপতি নিজে ফল এবং মিষ্টি নিয়ে গিয়েছিলেন ৷ 11 হাজার টাকার দক্ষিণা দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ৷ পুজো দিয়ে রাষ্ট্রপতি তাঁর মেয়ে এবং সেখানে উপস্থিত উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপালকে এই মন্দিরের মাহাত্ম্যের কথা শোনান ৷ একই সঙ্গে তিনি এও জানান, তাঁরা বাবা এই মন্দিরের দেখভাল করতেন ৷
পৈতৃক ভূমিতে পৌঁছে রাষ্ট্রপতি সেখানে উপস্থিত গ্রামবাসীদের উদ্দেশ্য়ে ভাষণও দেন ৷ তিনি জানান, তাঁর গ্রামে যাওয়ায় গ্রামবাসীরা যত না খুশি, নিজের গ্রামে পৌঁছতে পেরে তিনি আরও বেশি খুশি হয়েছেন ৷ আবেগপ্রবণ হয়ে রাষ্ট্রপতি জানান, তাঁর কাছে জন্মভূমির মূল্য স্বর্গের থেকেও বেশি ৷ তাই আগামী দিনে খুব তাড়াতাড়ি তিনি তাঁর গ্রামে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ৷ এর পরেই নিজের রাষ্ট্রপতি হওয়া নিয়ে রামনাথ কোবিন্দ বলেন, ‘‘আমি কেবলমাত্র সংবিধান অনুযায়ী দেশের প্রথম নাগরিক ৷ কিন্তু, গ্রামের আর দশটা লোকের মতোই আমিও সাধারণ একজন নাগরিক ৷ আমি কখনওই ভাবিনি যে ভারতের রাষ্ট্রপতি হতে পারব ৷ কিন্তু, ভারতের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা তা করে দেখিয়েছে ৷’’