রামপুর, 18 ফেব্রুয়ারি: প্রাণভিক্ষা চেয়ে নতুন করে উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপালের কাছে আবেদন করল শবনমের আইনজীবীরা ৷ এই বিষয়ে আজ শবনম যে জেলে বন্দী রয়েছে সেখানকার আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা বলেন দুই আইনজীবী ৷ এদিকে এখনও দিনক্ষণ ঠিক না হলেও এগিয়ে আসছে শবনমের ফাঁসির দিন ৷ স্বাধীনতার পর এই প্রথম ভারতের কোনও মহিলা ফাঁসিকাঠে ঝুলতে চলেছে ৷ 2008 সালে তাকে এবং তার প্রেমিক সেলিমকে ফাঁসির সাজা শোনায় আদালত ৷ ফাঁসির সাজার যাবতীয় প্রক্রিয়া হয়ে গেলেও সম্প্রতি নতুন করে শবনমের ছেলে রাষ্ট্রপতির কাছে তার মায়ের প্রাণভিক্ষা চেয়েছে ৷ শবনমের 12 বছরের ছেলে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে আবেদন করেছে, "রাষ্ট্রপতি আঙ্কল আমার মা'কে মাফ করুন ৷ ওর প্রাণভিক্ষা দিন ৷" যদিও এখন অবধি শবনমের মৃত্যুদণ্ডের সাজা রদ হওয়ার কোনও খবর নেই ৷ তবে ফাঁসি দিতে দেরি হলে আর্টিকেল 32 অনুযায়ী মূল অধিকার আইন অনুযায়ী আরও একবার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করতে পারে শবনম ৷ যেমনটা দেখা গিয়েছিল নির্ভয়া কাণ্ডের সাজাপ্রাপ্তদের ক্ষেত্রে ৷ তার আগেই অবশ্য উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপালের কাছে মক্কেলের প্রাণভিক্ষা চাইল শবনমের আইনজীবীরা ৷
হাইপ্রোফাইল আমরোহা খুনের মামলায় দোষী সাব্য়স্ত হয়েছিল এই শবনম ও সেলিম ৷ শবনমের পরিবারের সাত সদস্যকে খুন করেছিল এই যুগল ৷ জানা গিয়েছে, যদিও ফাঁসির তারিখ এখনও ঘোষিত না হলেও মথুরা সংশোধনাগারে মৃত্য়ুদণ্ডের সাজা কার্যকর করা হবে ৷ সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, ঘোষিত না হলেও সাজাপ্রাপ্তদের একজনের সাজা কার্যকর করার দিনক্ষণ ইতিমধ্যেই স্থির হয়ে গিয়েছে ৷ অপরাধীদের ফাঁসির মঞ্চে ঝোলাবেন ফাঁসুড়ে হনুমান পবন ৷ যিনি পবন জল্লাদ নামেও পরিচিত ৷ বংশ পরম্পরায় এই কাজ করে আসছেন পবন ৷ তাঁর বাবাও প্রশিক্ষিত ফাঁসুড়ে ছিলেন ৷ পবনের আগের তিন প্রজন্মের পূর্বপুরুষরাও তাঁদের পূর্বসূরির কাছ থেকেই ফাঁসি দেওয়ার খুঁটিনাটি শিখেছিলেন ৷ সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই সাজাপ্রাপ্তদের জন্য ফাঁসির দড়ি কেনার বরাত দিয়েছে মথুরা জেল কর্তৃপক্ষ ৷