নয়াদিল্লি, 16 অক্টোবর: দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন নিউজক্লিকের প্রতিষ্ঠাতা প্রবীর পুরকায়স্থ এবং মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান অমিত চক্রবর্তী ৷ ইউএপিএ মামলায় তাঁদের গ্রেফতারি এবং রিমান্ড প্রত্যাহার করার আর্জি খারিজ করে দিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট ৷
সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন নিউজক্লিকের প্রতিষ্ঠাতা ৷ তাঁর আইনজীবী কপিল সিবালকে যাবতীয় নথি প্রকাশ করতে নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ ৷
সিবাল এ দিন বলেন, "এটা নিউজক্লিকের ব্যাপার । সাংবাদিকরা পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন । এখানে অভিযুক্তদের একজন 75 বছর বয়সি ব্যক্তি ।" বেঞ্চ বলেছে, আদালত জরুরি শুনানির জন্য আবেদনটি দেখবে ।
গত 13 অক্টোবর দিল্লি হাইকোর্ট এই মামলায় প্রবীর পুরকায়স্থ এবং অমিত চক্রবর্তীর গ্রেফতারি এবং পরবর্তী পুলিশ রিমান্ডের বিরুদ্ধে আবেদন খারিজ করে দেয় । ভারতে চিনপন্থী প্রচার করার বিনিময়ে অর্থ গ্রহণের অভিযোগে 3 অক্টোবর দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল ইউএপিএ ধারায় অভিযোগ এনে পুরকায়স্থ এবং চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করে ।
আরও পড়ুন:গ্রেফতার নিউজক্লিকের প্রতিষ্ঠাতা প্রবীর পুরকায়স্থ, ইউএপিএ ধারা দিল দিল্লি পুলিশ
প্রবীর পুরকায়স্থ এবং অমিত চক্রবর্তীকে গ্রেফতারের পাশাপাশি সাত দিনের পুলিশ হেফাজতকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এবং অন্তর্বর্তী জামিন হিসাবে অবিলম্বে মুক্তি চেয়েছিলেন । 10 অক্টোবর ট্রায়াল কোর্ট তাঁদের 10 দিনের জন্য বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠায় । চিনপন্থী প্রচার চালানোর জন্য অর্থ পাওয়ার অভিযোগে ইউএপিএ ধারায় দু'জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় ।
এফআইআরে অভিযোগ করা হয়েছে যে, নিউজক্লিক চিন থেকে একটা বড় অংকের অর্থ পেয়েছে, যার উদ্দেশ্য ছিল ভারতের সার্বভৌমত্বকে ক্ষুণ্ণ করা এবং নাগরিকদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করা । প্রবীর পুরকায়স্থ 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে অন্তর্ঘাত করার জন্য পিপলস অ্যালায়েন্স ফর ডেমোক্র্যাসি অ্যান্ড সেক্যুলারিজম নামে একটি গোষ্ঠীর সঙ্গে কাজ করেছেন বলে এফআইআর-এ অভিযোগ করা হয়েছে ৷