মুম্বই, 14 মার্চ : মুকেশ আম্বানির বাসভবনের কাছে বিস্ফোরকবোঝাই গাড়ি রাখার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মুম্বই পুলিশের এক আধিকারিককে গ্রেফতার করল এনআইএ ৷ অ্য়াসিসট্য়ান্ট পুলিশ ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার ওই আধিকারিকের নাম সচিন ওয়াজ়ে ৷ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের দাবি, মুকেশের বাড়ি অ্য়ান্টিলিয়ার কাছে বিস্ফোরকবোঝাই গাড়ি রাখার পিছনে হাত ছিল সচিনের ৷ শনিবার তাঁকে টানা 12 ঘণ্টা জেরা করে এনআইএ ৷ গ্রেফতার হন রাতে ৷ রবিবার মুম্বইয়ের বিশেষ আদালত সচিনকে 25 মার্চ পর্যন্ত এনআইএ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয় ৷
গত সপ্তাহ পর্যন্ত মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (সিআইইউ) মাথা ছিলেন সচিন ওয়াজ়ে ৷ সূত্রের খবর, তাঁর অধীনে কাজ করা সিআইইউ-এর অন্য সদস্যরাও আপাতত রয়েছেন এনআইএ-র আতসকাচের তলায় ৷ উল্লেখ্য, গত বুধবারই সচিন ওয়াজ়েকে সিআইইউ থেকে সরিয়ে সিটিজেন ফেসিলেশন সেন্টার (সিএফসি)-এ নিয়ে বদলি করা হয় ৷
তবে শুধুমাত্র এনআইএ নয়, ভ্য়াজ়ের বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছে মহারাষ্ট্রর অ্য়ান্টি-টেরোরিজম স্কোয়াডও (এটিএস) ৷ অ্য়ান্টিলিয়ার কাছে বিস্ফোরকবোঝাই গাড়ি রাখার ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল ব্য়বসায়ী হিরেন মনসুখের ৷ পরে রহস্যজনক পরিস্থিতিতে তাঁর দেহ উদ্ধার হয় ৷ হিরেনের স্ত্রীর দাবি, যে গাড়িতে বিস্ফোরক রাখা হয়েছিল, সেটি প্রায় চারমাস নিজের কাছে রেখেছিলেন ওয়াজ়ে ৷ এই দু’টি ঘটনাতেই সিআইইউ-এর প্রাক্তন প্রধানের বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছে রাজ্য পুলিশের এটিএস ৷ এমনকী, হিরেনের মৃত্য়ু ঘটনাতেও সচিন ওয়াজ়ের হাত থাকতে পারে বলে অভিযোগ মৃত ওই ব্য়বসায়ীর স্ত্রীর ৷
তবে গোটা ঘটনায় এআইএ-র অন্তর্ভুক্তিকে তাঁরা যে ভালো চোখে দেখছেন না, ঠারে ঠোরে তা বুঝিয়ে দিয়েছেন রাজ্য়ের শাসকদল শিবসেনার মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত ৷ ধৃত সচিন ওয়াজ়ের পাশে থাকারই বার্তা দিয়েছেন তিনি ৷ বলেছেন, ‘‘আমার বিশ্বাস, সচিন ওয়াজ়ে একজন সৎ ও অত্যন্ত যোগ্য আধিকারিক ৷ জিলেটিন স্টিক উদ্ধারের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ওঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ একটা মৃত্য়ু নিয়েও ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে ৷ এই ঘটনা তদন্ত করার দায়িত্ব মুম্বই পুলিশের ৷ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কোনও প্রয়োজন ছিল না ৷’’
সঞ্জয়ের অভিযোগ, এভাবে যদি বারবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি মুম্বই পুলিশের কাজে হস্তক্ষেপ করে তাহলে পুলিশের কর্মী, আধিকারিকদের মনোবল ভেঙে যাবে ৷