মান্ডিয়া (কর্ণাটক), 10 নভেম্বর: গণধর্ষিতা এক নাবালিকা ৷ নির্যাতিতার বয়স মাত্র 17 ৷ অভিযোগের তির তারই সহপাঠীদের দিকে ৷ ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের মান্ডিয়া জেলার মাদ্দুর থানা এলাকায় ৷ পুলিশ পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে ৷ ইতিমধ্যে অভিযুক্তদের মধ্যে তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তদের অধিকাংশই নাবালক ৷
পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বছর 17-র ওই মেয়েটিকে বন্ধুরা একটি লজে ডেকে নিয়ে যায় ৷ সেখানে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে বন্ধুরা ৷ ধর্ষণের সময়ের ভিডিয়ো রেকর্ড করে রাখা হয় ৷ কাউকে কিছু না জানানোর জন্য হুমকিও দেওয়া হয় ৷ পরে সেখান থেকে চলে আসে মেয়েটি ৷
প্রাথমিকভাবে সে পরিবারের কাছে কিছু জানায়নি ৷ কিন্তু দিনকয়েকের মধ্যে মেয়েটির মোবাইলে ধর্ষণের ভিডিয়ো পাঠিয়ে দেয় অভিযুক্তরা ৷ তার পর জানায় যে এবার থেকে যখন যেখানে তারা মেয়েটিকে ডাকবে, সেখানে তখনই যেতে হবে ৷ না হলে ওই ভিডিয়ো সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় ৷
তখন ভয় পেয়ে মেয়েটি মা-বাবার কাছে গণধর্ষণের বিষয়টি জানায় ৷ তার পর পরিবারের তরফে মেয়েটিকে মাদ্দুর থানায় নিয়ে আসা হয় ৷ সেখানেই গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয় ৷ যেহেতু মেয়েটি নাবালিকা, তাই পকসো ধারাও যোগ করা হয়েছে ৷ পুলিশ জানিয়েছে, তিনজনকে ইতিমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে ৷ মেয়েটির স্বাস্থ্যপরীক্ষাও করানো হয়েছে ৷
প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, অভিযুক্তদের মধ্যে কারও সঙ্গে মেয়েটির বিশেষ বন্ধুত্ব ছিল ৷ সেই সম্ভবত মেয়েটিকে ওই লজে নিয়ে যায় ৷ তার পর মেয়েটির উপর অত্যাচার করা হয় ৷ পুলিশ খতিয়ে দেখছে, এই সহপাঠীদের মধ্য়ে মেয়েটির বিশেষ বন্ধুটিকে ৷ তাকে পাওয়া গেলে পুলিশ জানতে চেষ্টা করবে যে এই গণধর্ষণের পরিকল্পনা কে করেছিল, বিশেষ বন্ধুটি এই বিষয়ে আগে থেকে জানত কি না, সেটাও পুলিশ জানার চেষ্টা করবে ৷
পুলিশ আপাতত মেয়েটির সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছে ৷ তবে ঘটনার পর মেয়েটি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে ৷ সেই কারণে এখনই তার সঙ্গে কথা বলা যাচ্ছে না বলে পুলিশের তরফ থেকে জানা গিয়েছে ৷
আরও পড়ুন:
- টেক-সিটিতে গাড়ির মধ্যে নাবালিকাকে গণধর্ষণ, অভিযুক্ত মিম বিধায়কের ছেলে
- স্কুলে গণধর্ষণের চেষ্টা ! রেহাই পেতে ছাদ থেকে ঝাঁপ নাবালিকার
- প্রেমিকের কাছ থেকে ছিনিয়ে আদিবাসী নাবালিকাকে গণধর্ষণ শান্তিনিকেতনে