কলকাতা, 15 মে : ফোকাস ত্রিপুরা ৷ সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছর এই সময়ে নির্বাচন অতিবাহিত হয়ে যাবে প্রতিবেশী রাজ্য ত্রিপুরায় ৷ এমনিতেই ত্রিপুরাকে পাখির চোখ করেছে এ রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস ৷ বিপ্লব দেব পরবর্তী জমানায় নতুন মুখ্যমন্ত্রীকে পদে-পদে তৃণমূলের বিরোধিতার সামনে পড়তে হবে ৷ কার্যত কাঁটার আসনেই বসতে চলেছেন ত্রিপুরার নতুন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা ৷ বিরোধী হিসাবে তৃণমূল কংগ্রেস কি ? সেটাই এ বার মানিক সাহাকে সেটাই বুঝিয়ে দিতে চাইবে তৃণমূল কংগ্রেস (Manik Saha will not be able to prevent defeat in Tripura says Rajib Banerjee) ৷ তেমনটাই দিলেন ত্রিপুরায় তৃণমূলের পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
তবে কোনও রাজনৈতিক অভিসন্ধি করে, ত্রিপুরায় অস্থিরতা তৈরি করতে চায় না তৃণমূল ৷ বরং এ ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের উপর নির্ভর করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার গঠিত হয়েছিল ৷ সেই গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পথকেই বেছে নিতে চায় তৃণমূল ৷
এ প্রসঙ্গে ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সুবল ভৌমিক বলেন, ‘‘আমাদের আদর্শ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তিনি দেখিয়েছেন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে 34 বছরের বাম সরকারকে হটানো যায় ৷ তাহলে ত্রিপুরায় অত্যাচারী, বিভাজন সৃষ্টিকারি বিজেপিকে কেন হাটানো যাবে না ?’’ সেই সঙ্গে তিনি এও স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ঠান্ডা ঘরে বসে রাজনীতি তৃণমূল কংগ্রেসের লক্ষ্য নয় ৷ ময়দানে নেমে মানুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আন্দোলনই লক্ষ্য তৃণমূলের ৷ তিনি জানান, ‘‘প্রয়োজনে তৃণমূল কর্মীরা মার খাবেন ৷ তবুও, শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে ত্রিপুরার মানুষের জন্য লড়াই করবে ৷ এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ ৷’’