ঔরঙ্গাবাদ, 29 অক্টোবর: ‘‘ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী-গদ্যময়, পূর্ণিমা-চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি...৷’’ কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের লেখা কবিতার এই দু’টি লাইন দারিদ্র এবং ক্ষুধাকে তুলে ধরেছিল বিংশ শতকে ৷ কিন্তু, বাস্তবেও খিদের কষ্ট কী ? তা একজন দরিদ্রের থেকে বেশি কেউ জানেন না ৷ খিদেয় অতিষ্ট সেই সকল মানুষগুলির পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন, ইউসুফ মাকাতি ৷ মহারাষ্ট্রের ছত্রপতি সাম্ভাজিনগরের বাসিন্দা ইউসুফ দরিদ্র মানুষের খিদে মেটাতে ‘রুটি ব্যাংক’ তৈরি করেছেন ৷ এই জেলার জিনসি এলাকার গঞ্জ শাহিদান মসজিদের কাছে গত 9 বছর ধরে তিনি এই ‘রুটি ব্যাংক’ চালাচ্ছেন ৷
এখানে তিনি খাবার তৈরি করেন না ৷ হ্যাঁ, এই ব্যাংকে খাবার জমা হয় ৷ গত 9 বছর ধরে তিনি বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান এবং বাড়ি বাড়ি থেকে অতিরিক্ত খাবার সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন ৷ সেই অতিরিক্ত খাবার সংগ্রহ করে রাস্তার ধারে বসবাসকারী দরিদ্র মানুষগুলির মুখে তুলে দেন ইউসুফ মাকাতি ৷ তিনি বলেন, ‘‘আমাকে গরিব মানুষের জন্য খাবার তৈরি করতে হয় না ৷ শহরে প্রতিদিন একাধিক সামাজিক অনুষ্ঠান হচ্ছে ৷ সেখানে অতিরিক্ত খাবারগুলি আমি সংগ্রহ করি ৷ এমনকী বহু বাড়ি থেকেও খাবার আসে ৷ আমার ‘রুটি ব্যাংকে’ সেই খাবার মজুত হয় ৷ সেখান থেকেই গরিব মানুষের মুখে খাবার তুলে দেওয়া হয় ৷’’
আরও পড়ুন:মনখারাপের উঠানে এক চিলতে রোদ, বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকদের পাশে 'আপনজন'