ভোপাল, 21 অগস্ট: মধ্যপ্রদেশে দোরগোড়ায় বিধানসভা নির্বাচন ৷ ক্ষমতাসীন বিজেপি গত 17 অগস্ট 39 জনের প্রথম প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে ৷ তবে প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসকে প্রার্থী তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে ৷ প্রার্থী হওয়ার যোগ্য নেতাদের আধিক্যই মূল সমস্যা ৷
আসন 230টি ৷ আর কংগ্রেসের টিকিট পাওয়ার প্রত্যাশী 4,500 জনেরও বেশি ৷ এই বিশাল সংখ্যক প্রত্যাশীদের মধ্যে থেকে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করাটাই কংগ্রেস হাইকমান্ডের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ ৷ যে 66টি আসনে কংগ্রেস বরাবর হেরেছে, তার মধ্যে 40টির জন্য প্রার্থী বাছাই করাটা কংগ্রেসের জন্য কোনও সমস্যার বিষয় নয় । তবে হাই প্রোফাইল আসনের জন্য দলের অভ্যন্তরীণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে । প্রতিটি আসনে 12 জনেরও বেশি নেতা টিকিটের প্রত্যাশায় রয়েছেন ৷ ভোপালের নরেলা, গোবিন্দপুরা এবং বেরাসিয়া আসনে দুইজনের বেশি শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন । 2 সেপ্টেম্বরের পর কংগ্রেসের প্রথম তালিকা প্রকাশ করা হবে ।
প্রায় 130টি আসনে প্রার্থীদের নাম নির্ধারণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কংগ্রেস । এর মধ্যে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিং 66টি বিধানসভা কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন । দলের পরিস্থিতি, কর্মদক্ষতা, স্থানীয় পর্যায়ে দাবিদারদের গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন রিপোর্ট তৈরি করেছেন তিনি । রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি কমল নাথের কাছে সেই তালিকা জমা দেওয়া হয়েছে ৷ রাজ্য কংগ্রেস এই 66টি আসন-সহ সমস্ত আসনের সমীক্ষা রিপোর্ট তৈরি করেছে । প্রার্থীদের নাম ঠিক করতে 2 সেপ্টেম্বর ভোপালে কংগ্রেস স্ক্রিনিং কমিটির প্রথম বৈঠক হতে চলেছে ।
আরও পড়ুন:'আইন মেনে উন্নয়নের কাজ করব', পঞ্চায়েতে নির্বাচিত দলীয় প্রতিনিধিদের মুচলেকা লেখাচ্ছে তৃণমূল
স্ক্রিনিং কমিটির চেয়ারম্যান জিতেন্দ্র সিং, রাজ্য ইনচার্জ সাধারণ সম্পাদক রণদীপ সুরজেওয়ালা, রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি কমল নাথ, দিগ্বিজয় সিং এবং কমিটির অন্যান্য সদস্যরা বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন । বলা হচ্ছে, 66টি আসনের জন্য রাজ্য কংগ্রেস এবং এআইসিসি-র সমীক্ষা রিপোর্ট প্রথমে কমিটির সামনে রাখা হবে । এর ভিত্তিতে প্রতিটি আসনে প্যানেল তৈরি করা হবে । প্রার্থীদের নামের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পার্লামেন্ট বোর্ড নেবে ।
তিন নির্বাচনে হেরে যাওয়া নেতাদের টিকিট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল । তাঁদের জায়গায় তরুণ মুখদের সুযোগ দেওয়া হবে । স্থানীয় প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে । এগুলি ছাড়াও যাঁরা বিজেপি থেকে কংগ্রেসে এসেছেন, তাঁদের জনপ্রিয়তা এবং গ্রহণযোগ্যতা অনুসারে বিচার করে পুরস্কার স্বরূপ টিকিট দেওয়া হতে পারে ৷
এ জন্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এই নেতাদের নাম নিয়ে সংশ্লিষ্ট জেলা কংগ্রেস কমিটির সঙ্গেও আলোচনা করা হবে । উল্লেখ্য, অতীতে অনেক বিজেপি নেতা কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন । তাঁদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কৈলাশ জোশীর ছেলে ও প্রাক্তন মন্ত্রী দীপক জোশী, জাভাদ থেকে সমন্দর প্যাটেল, প্রাক্তন বিধায়ক দেশরাজ সিংয়ের ছেলে যাদবেন্দ্র সিং যাদব, বৈজনাথ যাদব, প্রাক্তন বিধায়ক কুনওয়ার ধ্রুব প্রতাপ সিং, প্রাক্তন বিধায়ক রাধেলাল বাঘেল প্রমুখ । এরা সবাই কংগ্রেসের টিকিটে নির্বাচনে লড়তে ইচ্ছুক । প্রবীণ কংগ্রেস নেতা সজ্জন সিং ভার্মার মতে, দল প্রার্থী বাছাইয়ের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করবে । নির্বাচন কমিটি স্ক্রিনিং কমিটির সামনে প্রার্থীদের নাম রাখবে । স্ক্রিনিং কমিটির বৈঠকে নাম চূড়ান্ত করা হবে ।