আগরতলা, 3 ফেব্রুয়ারি: রাজ্যে আমজনতার গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং আইনের শাসন ফিরিয়ে আনা-সহ মোট 22 দফা প্রতিশ্রুতি সামনে রেখে নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করল ত্রিপুরা বামফ্রন্ট (Left Front Manifesto for Tripura Polls) ৷ আগামী 16 ফেব্রুয়ারি ভোট হবে ত্রিপুরায় (Tripura Assembly Election 2023) ৷ ইতিমধ্যেই রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়াইয়ের কথা জানিয়ে দিয়েছে বামফ্রন্ট ৷ আসন সমঝোতা নিয়ে প্রাথমিকভাবে কিছু জটিলতা তৈরি হলেও সেই জট ইতিমধ্যেই কেটে গিয়েছে ৷ এই প্রেক্ষাপটে শুক্রবার নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করল বামেরা ৷
এদিন এই উপলক্ষে সিপিএমের রাজ্য সদর কার্যালয়ে একটি সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করা হয় ৷ সেই বৈঠকে ত্রিপুরায় বামফ্রন্টের আহ্বায়ক নারায়ণ কর অভিযোগ করেন, গত পাঁচবছরে বিজেপির শাসনকালে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে ৷ বদলে রাজ্যে ফ্যাসিবাদ কায়েম করা হয়েছে ৷ অন্যদিকে, ত্রিপুরার সাধারণ মানুষ তাঁদের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র হারিয়েছেন ৷
এই প্রসঙ্গে এদিন নারায়ণ কর বলেন, "রাজ্যের বর্তমান সরকার ভবিষ্যৎকে ধ্বংস করে দিয়েছে ৷ রাজ্যজুড়ে অপরাধের ঘটনা, বিশেষ করে মহিলাদের উপর অপরাধের সংখ্যা মারাত্মক হারে বেড়ে গিয়েছে ৷ 2018 সালে বিজেপি তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে নানা কথা বলেছিল ৷ কিন্তু, এখন মানুষ বুঝতে পারছে, সেই সবই আদতে ভাঁওতা ! বিজেপির নেতা ও কর্মীদের একাংশ মানুষের সম্পদ লুট করছেন এবং বাইরে থেকে আসা ব্যবসায়ীরা রাজ্যের সমস্ত কিছু দখল করে নিচ্ছেন ! বর্তমান সরকার গোটা রাজ্যকেই ধ্বংস করে দিচ্ছে ৷ কিন্তু, মানুষ এখন এদের হাত থেকে পরিত্রাণ চায় ৷ আর মানুষের এই দাবিকে সামনে রেখেই আমরা ফের একবার সরকার গঠন করতে চাই ৷ বাম এবং কংগ্রেস একসঙ্গে জোট বেঁধে লড়াই করবে ৷ আমাদের বিশ্বাস, 2023 সালের নির্বাচনে জিতে আমরা আমাদের সেই লক্ষ্যপূরণ করতে সমর্থ হব ৷"
আরও পড়ুন:জোটের জট কাটল, একই আসনে থাকা প্রার্থী প্রত্যাহার করবে বাম-কংগ্রেস
বামেদের প্রতিশ্রুতি হল, রাজ্য়ে ক্ষমতায় ফিরলে তারা আগে আইনের শাসন বলবৎ করবে এবং গণতন্ত্রকে ফের একবার স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠা করা হবে ৷ যেসমস্ত পরিবার গত পাঁচবছরে হিংসার শিকার হয়েছে, সরকার তাদের পাশে দাঁড়াবে ৷ শ্রমিক এবং কৃষকদের সামগ্রিক উন্নয়নে কাজ করা হবে ৷ সমস্ত রাজ্য সরকারি শূন্যপদে অবিলম্বে নিয়োগ করা হবে ৷ পাশাপাশি, শিক্ষাব্যবস্থার সামগ্রিক উন্নতিতে এবং রাজ্যে মাদকের কারবার বন্ধ করতে সচেষ্ট হবে সরকার ৷