লখনউ, 17 জানুয়ারি: আগামী 22 জানুয়ারি অযোধ্যায় রামমন্দিরের প্রাণপ্রতিষ্ঠার আগেই কলকাতা থেকে অযোধ্যার দূরত্ব কমে গেল অনেকটাই।ট্রেনের ঝক্কি না পুইয়ে এবার 1 ঘণ্টা 45 মিনিটে পৌঁছনো যাবে অযোধ্যায় ৷ কলকাতা থেকে অযোধ্যার এই বিমান পরিষেবা শুরু হচ্ছে আজ, বুধবার থেকেই ৷ কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আজ অযোধ্যা থেকে কলকাতা যাওয়ার এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের এই বিমানযাত্রার সূচনা করেন ৷
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের হাতে কলকাতা থেকে অযোধ্যা পর্যন্ত বিমানের বোর্ডিং পাস তুলে দেওয়া হয় বিমান সংস্থার তরফ থেকে। কলকাতা থেকে সরাসরি অযোধ্যা পর্যন্ত নয়া বিমান পরিষেবা চালু হওয়ায় কলকাতা বিমানবন্দরে অযোধ্যাগামী যাত্রীদের বিশেষ অভ্যর্থনার আয়োজন করে বিজেপি। এদিন বিমানযাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বলেন, "প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং আদিত্যনাথের নেতৃত্বে উত্তরপ্রদেশ উন্নয়ন এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।"
ভিডিয়ো-কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এদিন যোগী আদিত্যনাথ লখনউ থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন অনুষ্ঠানে ৷ সেখানে তিনি বলেন, "রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিস্থা অনুষ্ঠান 22 জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ৷ আর তা নিয়ে পুরো দেশ নিয়ে উত্তেজিত। ভক্তরা অধীর আগ্রহে তা দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন ৷ চার-পাঁচ বছর আগে কেউ ভাবতেও পারেনি যে অযোধ্যায় একটি বিমানবন্দর তৈরি হবে। আর তা বাস্তবে পরিণত হয়েছে ৷" কলকাতা থেকে অযোধ্যার মহর্ষি বাল্মিকী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত যাত্রীদের চাহিদা দেখে পরবর্তীকালে বিমানের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে বলে জানা গিয়েছে ৷
আগামী 22 জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন। তার আগে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ট্রেন পরিষেবার ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে। কলকাতা থেকেও অযোধ্যা যাওয়ার ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এবার কলকাতা থেকে সরাসরি অযোধ্যা পর্যন্ত নয়া বিমান পরিষেবাও চালু করা হল। তাই বুধবারই কলকাতার বিমানের প্রথম বোর্ডিং পাসটি তুলে দেওয়া হয় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথের হাতে।
আরও পড়ুন:
- সিস্টেম আপগ্রেডের জেরে বন্ধ ইন্ডিগোর অনলাইন পরিষেবা, সমস্যায় যাত্রীরা
- ভগবানের আপন দেশে ভক্তের বেশে মোদি, গুরুভায়ুর কৃষ্ণ মন্দিরে পুজো প্রধানমন্ত্রীর
- বাংলা-সহ 13টি ভাষায় লেখা 'জয় শ্রী রাম', সীতা মায়ের জন্য বিশেষ শাড়ি বুনল অন্ধ্রের দুই পরিবার