বেঙ্গালুরু, 10 জুন: মৃত্যুদণ্ডের সাজাই বহাল রাখল কর্ণাটক হাইকোর্ট ৷ বাল্লারির সেশনস কোর্ট এক অভিযুক্তকে একটি খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে তাকে ফাঁসির সাজা দেয় ৷ নিম্ন আদালতের এই রায়কেই মান্যতা দিল কর্ণাটক হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ৷ ঘটনার সূত্রপাত 2017 সালে ৷ দোষী বাইলুরু থিপ্পাইয়ার সন্দেহ হয় তার স্ত্রী বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত ৷ 12 বছরের বিবাহিত জীবনে তাদের চারটি সন্তান রয়েছে ৷ থিপ্পাইয়া দাবি করে, এই চারজনের মধ্যে শুধুমাত্র একটি সন্তানই তার ৷ বাকি সন্তানের পিতৃত্ব অস্বীকার করে বাল্লারির বাসিন্দা পেশায় শ্রমিক বাইলুরু ৷
ওই বছর 25 ফেব্রুয়ারি বাইলুরু ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার স্ত্রী পাক্কিরাম্মাকে আক্রমণ করে ৷ তার শ্যালিকা গঙ্গারামার উপরেও হামলা চালায় ৷ এমনকী বাদ যায়নি ওই দম্পতির তিন সন্তান- পবিত্রা, নাগারাজ এবং রাজাপ্পাও ৷ ধারালো অস্ত্রের কোপে এই পাঁচজনেরই মৃত্যু হয় ৷ বাল্লারির সেশনস কোর্ট বাইলুরু থিপ্পাইয়াকে এই ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করে ৷ নিম্ন আদালত 36 জন সাক্ষী এবং 51 টি জিনিসের প্রমাণ খতিয়ে দেখে ৷ শেষমেশ 2019 সালের 3 ডিসেম্বর ভারতীয় দণ্ডবিধির সংশ্লিষ্ট ধারায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসির সাজা দেয় ৷
নিম্ন আদালতের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় থিপ্পাইয়া ৷ 2022 সালের 22 নভেম্বর হাইকোর্ট মামলার শুনানি পর্ব শেষ করে ৷ রায়দান স্থগিত ছিল ৷ এবার রায় দেওয়া হল। আদালত জানায়, এই নৃশংসতায় ডিভিশন বেঞ্চ স্তম্ভিত ৷ বিচারপতি সূরজ গোবিন্দরাজ এবং বিচারপতি জি বাসবারাজা বেঞ্চ তাদের পর্যবেক্ষণে জানায়, "যে নির্মমতার সঙ্গে এই অপরাধ করা হয়েছে, তাতে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া ছাড়া আমাদের কাছে আর কোনও উপায় নেই ৷ পাঁচজনকে খুন করা হয়েছে ৷ তাঁদের মধ্যে 3 জনের বয়স 10 বছরের নীচে ৷ এটা এমনি এক বিরল থেকে বিরলতম ঘটনা যেখানে মৃত্যুদণ্ডের সাজাই দিতে হচ্ছে ৷ এই রায় ঘোষণা করতে গিয়ে আমাদের হৃদয় ভারী হয়ে আসছে ৷"
আরও পড়ুন: যৌন অত্যাচারের পর হত্যা বালককে, অপরাধের 15 দিনের মধ্যেই মিলল মৃত্যুদণ্ড