রাঁচি, 25 অগস্ট: ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের (Jharkhand CM Hemant Soren) বিরুদ্ধে ওঠা 'অফিস অফ প্রফিট'-এর অভিযোগকে কেন্দ্র করে এই মুহূর্তে সরগরম ঝাড়খণ্ডের রাজনীতি ৷ ইতিমধ্যেই হেমন্তের বিরুদ্ধে 'অফিস অফ প্রফিট ম্যাটার' নিয়ে নির্বাচন কমিশন তাদের মতামত জানিয়েছে ৷ সূত্রের খবর, তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের সুপারিশ করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India recommends cancellation of MLA post of CM Hemant Soren) ৷ এই সংক্রান্ত চিঠি ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে ঝাড়খণ্ডের রাজভবনে ৷ এই পরিস্থিতিতে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম)-এর তরফে বিশেষ কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া না গেলেও, বিরোধী বিজেপি ইতিমধ্যেই এই ইস্যুতে সরব হয়েছে ৷ তাদের নিশানায় ক্ষমতাসীন জেএমএম ও কংগ্রেস জোট ৷
তবে এসবের মাঝেই ঝাড়খণ্ডের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে ৷ আর সেই সূত্রেই উঠে আসছে বিহারের কথা ৷ 1997 সালের জুলাই মাসে বিহারের রাজনৈতিক পরিবর্তন চমকে দিয়েছিল দেশকে ৷ মনে করা হচ্ছে বর্তমান পরিস্থিতিতে ঝাড়খণ্ডেও একই প্রয়োগ সম্ভব ৷ 1997 সালে পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির জেরে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল বিহারের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের বিরুদ্ধে ৷ সেসময় সকলকে চমকে দিয়ে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন লালুপত্নী রাবড়ি দেবী ৷ মনে করা হচ্ছে হেমন্ত সোরেনও সেই পথেই হাঁটতে পারেন ৷ পদ গেলে তাঁর জায়গায় মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসাতে পারেন স্ত্রী কল্পনা সোরেনকে (Kalpana Soren) ৷ তবে দলের মধ্যে কল্পনা সোরেনের নামে সম্মতি রয়েছে বলেই খবর ৷