নয়াদিল্লি, 13 সেপ্টেম্বর: 'ইন্ডিয়া' জোটের প্রথম জনসভা হবে মধ্যপ্রদেশের ভোপালে ৷ বুধবার এনসিপি প্রতিষ্ঠাতা শরদ পাওয়ারের দিল্লির বাসভবনে বিরোধী জোটের প্রথম সমন্বয় কমিটির বৈঠক হয় ৷ সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে অক্টোবরেই জনসভা করবে বিরোধী জোট ৷ বিরোধীরা যখন রণকৌশল তৈরিতে ব্যস্ত ঠিক তখন তৎপর শাসকও।
সন্ধ্যায় মধ্যপ্রদেশের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে বৈঠক করে বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটির ৷ দিল্লিতে বিজেপির সদর কার্যালয়ে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা থেকে শুরু করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ৷ তাঁদের সঙ্গে ছিলেন মধ্যপ্রদেশে কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটির সদস্য এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান ৷
আরও পড়ুন: অভিষেকের পাশে 'ইন্ডিয়া', বিবৃতিতে বিজেপির প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির উল্লেখ
মধ্যপ্রদেশে এ বছরের শেষে বিধানসভা নির্বাচন ৷ তাই অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে জনসভা করছে 'ইন্ডিয়া' জোট ৷ এই বৈঠক শেষে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণু গোপাল জানান, নির্বাচন আসন্ন এমন রাজ্যগুলিতে বিরোধী জোটের দলগুলি যত দ্রুত সম্ভব আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনা হবে ৷ বাকি রাজ্যগুলিতে লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে রণকৌশল তৈরি হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমকে'র নেতা টি আর বালু।
তবে এদিনও গেরুয়া শিবির 'ইন্ডিয়া' জোটকে আক্রমণ করতে ছাড়েনি ৷ বুধবার রাতে সাংবাদিকরা পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে বিরোধীদের এই বৈঠক নিয়ে প্রশ্ন করেন ৷ এর জবাবে বিজেপি বিধায়ক 'ইন্ডিয়া' জোটকে 'চোরেদের জোট' বলে কটাক্ষ করেন ৷ পাশাপাশি আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে এই জোটের কোনও প্রভাব পড়বে না বলেও দাবি করেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক ৷ এদিন শুভেন্দু বলেন, "ইন্ডিয়া জোট দিয়ে কিছু হবে না ৷ আগামী লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি 400-টিরও বেশি আসন পেয়ে ক্ষমতায় ফিরবে ৷ আমার কথা মিলিয়ে নেবেন ৷"
দিল্লির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা কে সি বেণুগোপাল ৷ তাঁর পাশেই বসেছিলেন বর্ষীয়ান নেতা শরদ পাওয়ার ৷ বেণুগোপাল বলেন, "শরদ পাওয়ারজির বাড়িতে আজ কোঅর্ডিনেশন কমিটির বৈঠক হয়েছে ৷ এতে 12টি রাজনৈতিক দলের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেছেন ৷"
আরও পড়ুন: 9 ঘণ্টা জেরা শেষে ইডি দফতরের বাইরে দাঁড়িয়েই তদন্তকারী সংস্থাকে চ্যালেঞ্জ অভিষেকের
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই বৈঠকে অংশ নিতে পারেননি ৷ বেণুর দাবি, অভিষেক বিজেপির প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির শিকার ৷ বুধবার সকাল 11.30 মিনিট নাগাদ ইডির কলকাতার কার্যালয়ে পৌঁছন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ৷ ন'ঘণ্টা ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর রাত আনুমানিক 8.45 মিনিটে তিনি বেরিয়ে আসেন ৷ তাই কোঅর্ডিনেশন কমিটির প্রথম বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক ৷