নয়াদিল্লি, 20 ডিসেম্বর:লোকসভায় বিবেচনা ও পাশের জন্য বর্তমান ফৌজদারি আইন প্রতিস্থাপনের জন্য নয়া বিল বুধবার পেশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রস্তাবের পর এদিন ধ্বনিভোটে পাশ হয় নয়া তিনটি বিলই ৷ প্রায় বিরোধী শূন্য লোকসভায় এদিন ভারতীয় সাক্ষ্য সংহিতা (দ্বিতীয়), ভারতীয় ন্য়ায় সংহিতা (দ্বিতীয়), ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা (দ্বিতীয়) তিনটি বিল পেশ করেন কেন্দ্রীয় অমিত শাহ ৷ আর সেই বিল পেশ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাফ জানান, এবার থেকে ব্রিটিশদের 'রাজদ্রোহ'র পরিবর্তে 'রাষ্ট্রদ্রোহ' লাগু হবে ৷ এদিন বিল পাশ হওয়ার পর গোটা দেশে নতুন দণ্ডবিধি লাগু হবে ৷
বিল পেশ করে লোকসভায় অমিত শাহ বলেন, "প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে, আমি 150 বছরের পুরনো তিনটি আইনে কিছু বড় পরিবর্তন আনতে চলেছি যা আমাদের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করে ৷" একইসঙ্গে তিনি বলেন, "ভারতীয় দণ্ডবিধির উদ্দেশ্য ছিল শাস্তি দেওয়া, ন্যায়বিচার নয় ৷ সেই ভারতীয় ন্যায় (দ্বিতীয়) সংহিতার জায়গায় 2023 হাউজ থেকে পাশ হওয়ার পরে গোটা দেশে কার্যকর হবে ৷" কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আরও বলেন, "সিআরপিসিতে 484টি বিভাগ ছিল, এখন এতে 531টি বিভাগ থাকবে। 177টি বিভাগে পরিবর্তন করা হয়েছে এবং ন'টি নতুন বিভাগ যুক্ত করা হয়েছে। 39টি নতুন উপ-ধারা যুক্ত করা হয়েছে। 44টি নতুন বিধান যোগ করা হয়েছে ৷"
এদিন লোকসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, "গরিবদের জন্য, ন্যায়বিচার দেওয়ার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল আর্থিক চ্যালেঞ্জ ৷ বছরের পর বছর ধরে 'তারিখ পে তারিখ' চলতেই থাকে। পুলিশ বিচার ব্যবস্থাকে দায়ী করে। সরকার পুলিশ ও বিচারবিভাগীয় ব্যবস্থাকে দায়ী করে। পুলিশ ও বিচার বিভাগ এই বিলম্বের জন্য পালটা সরকারকে দায়ী করে। এখন আমরা নতুন আইনে অনেক কিছুই পরিষ্কার করেছি ৷" অমিত শাহের কথায়, "এটা ইংরেজ বা কংগ্রেসের শাসন নয় ৷ এটা ভারতীয় জনতা পার্টির শাসনকাল ৷ সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে কোনওরকম আপোষ করা হবে না ৷ সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে নো টলারেন্স নীতিতে চলছে মোদি সরকার ৷"