হায়দরাবাদ, 30 সেপ্টেম্বর: আমরা অনেকেই মনে করি, ইতিমধ্যেই যে ঋণ আমরা নিয়ে ফেলেছি, তা পরিশোধের সময়সীমা (Loan Term) আর পরিবর্তন করা যাবে না ৷ আসলে বিষয়টা কিন্তু তেমন নয় ৷ যদি আমরা আমাদের ঋণের কিস্তি সময় মতো দিয়ে যেতে থাকি, তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্য়াংক বা ঋণ প্রদানকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ঋণ পরিশোধের সময়সীমা কমানোর আবেদন জানানো যেতেই পারে ৷ তবে, ঋণ পরিশোধের সময়সীমা কমলেই কিস্তির টাকার পরিমাণ বাড়বে ৷ এতে মাসের খরচ বাড়লেও ঋণের বোঝা দ্রুত ঘাড় থেকে নেমে যাবে ৷ আপনার যদি কিস্তির বাড়তি টাকা দেওয়ার ক্ষমতা থাকে, তাহলে অবশ্যই এই সুবিধা গ্রহণ করুন ৷
রাস্তা আরও আছে ৷ আমরা চাইলে ঋণ নেওয়া মূল অর্থের একটা অংশ ফেরত দিয়ে দিতে পারি ৷ সেক্ষেত্রে ঋণ পরিশোধের সময়সীমার পাশাপাশি কিস্তির টাকার পরিমাণও কমবে ৷ এমনকী, আমরা চাইলে প্রতি বছর একটি অথবা দু'টি অতিরিক্ত মাসিক কিস্তি জমা করতে পারি ৷ এক্ষেত্রে চাকরি থেকে পাওয়া বোনাসের টাকা ব্যবহার করা যেতে পারে ৷ তবে, কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা ঋণের মূল টাকা আগেভাগে ফেরত নিলে বাড়তি কিছু টাকা ফি বাবদ নেয় ৷ কিন্তু, ব্যাংকগুলি এই ধরনের কোনও টাকা দাবি করে না ৷
আরও পড়ুন:উৎসবের মরশুমে জেনে নিন সোনা ও রুপোর বাজারমূল্য
অনেক সময় এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে ঋণ স্থানান্তরিত করার সুবিধা থাকে ৷ সেক্ষেত্রে মাসিক সুদের হার কম হলে তেমনটাই করা উচিত ৷ তবে, সুদের হারের মধ্যে 0.75 শতাংশ থেকে 1 শতাংশের ফারাক থাকলে একমাত্র তবেই এই বিষয়ে ভাবা উচিত ৷ যদি দ্বিতীয় ব্য়াংকটি ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে তুলনামূলক আকর্ষণীয় সুবিধা প্রদান করে, তাহলে সেটাই গ্রহণ করা উচিত ৷ তবে, এমন কোনও পদক্ষেপ করার আগে ভালো করে সমস্ত নিয়মাবলী খতিয়ে দেখতে হবে ৷ বিশেষ করে বাড়ি তৈরির জন্য দীর্ঘমেয়াদি ঋণ নেওয়া হয় ৷ সেখানে এই ধরনের সুবিধা পেলে ভালোই হয় ৷ সুদের হারে সামান্য পরিবর্তনও গ্রাহককে বড় মুনাফা দিতে পারে ৷
এছাড়া, যাঁদের ক্রেডিট স্কোর বেশ ভালো, তাঁরা ঋণ নেওয়ার সময় সুদের হারে কিছু ছাড় পেতে পারেন ৷ তাই আপনার ক্রেডিট স্কোর বাড়লেই সঙ্গে সঙ্গে তা ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে জানানো উচিত ৷ খোঁজ নিয়ে দেখা দরকার, এর জন্য আপনার ব্যাংক আপনাকে কোনও বাড়তি সুবিধা দিতে পারে কিনা ৷ তবে, পরিস্থিতি যাই হোক, কখনও চড়া সুদে ঋণ নেবেন না ৷ যদি ইতিমধ্য়েই আপনি এমন কোনও ঋণ নিয়ে থাকেন, তাহলে যত দ্রুত সম্ভব সেটি পরিশোধ করার চেষ্টা করুন ৷ কারণ, সুদের হার বেশি হলে অল্প টাকার ঋণ শোধ করতেও গ্রাহককে সমস্য়ায় পড়তে হয় ৷ বরং, এর থেকে বড় অঙ্কের ঋণ শোধ করা অনেক বেশি সহজ ৷