দিল্লি, 29 জানুয়ারি: বাজেট অধিবেশন শুরুর দিনে সংসদের যৌথ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের ভাষণ বয়কট করাটা দুর্ভাগ্যজনক। বিরোধীদের উদ্দেশে একথা বললেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল। যে 16টি বিরোধী দল আজ রাষ্ট্রপতির ভাষণ বয়কট করেছে তাদের সংসদে উপস্থিত থাকার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার মেঘওয়াল বলেন, ''সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ একেবারেই অরাজনৈতিক বিষয়। বিরোধীদের এতে যোগ দেওয়া উচিত। তাঁরা ভাষণ বয়কটের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা দুর্ভাগ্যজনক।''
বিহারের বেগুসরাইয়ের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং বলেন, রাষ্ট্রপতির ভাষণ বয়কট করার অর্থ গণতন্ত্রের মর্যাদা খর্ব করা। তাঁর কথায়, ''ওরা গণতন্ত্রের মর্যাদা নষ্ট করছে। সংসদীয় ব্যবস্থায় রাষ্ট্রপতির একটা মর্যাদা রয়েছে এবং তাঁর ভাষণ বয়কট করাটা তাঁকে অপমান করার সমান।''
সংসদে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের ভাষণ বয়কট করার সিদ্ধান্ত নেয় বিরোধীরা। যৌথ বিবৃতি দিয়ে একথা জানায় কংগ্রেস, তৃণমূল সহ 16টি বিরোধী দল। তারা কৃষক বিক্ষোভের পাশেই থাকছে বলে স্পষ্ট করে দিয়েছে। সাধারণতন্ত্র দিবসে কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিলের সময় দিল্লিতে যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে তার নিন্দা করলেও বিরোধীদের দাবি, নিরপেক্ষ তদন্ত হলে প্রকাশ্যে আসবে যে এই ঘটনার পিছনে কেন্দ্রীয় সরকারের অসাধু ভূমিকা ছিল।
আরও পড়ুন: আজ শুরু সংসদের বাজেট অধিবেশন, রাষ্ট্রপতির ভাষণ বয়কটের ডাক 16 দলের
কংগ্রেস সাংসদ গুলাম নবি আজাদ বলেন, ''সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ বয়কট করা হবে জানিয়ে আমরা 16টি রাজনৈতিক দল যৌথ বিবৃতি দিয়েছি। বিরোধীদের ছাড়াই সংসদে জোর করে কৃষি বিল পাশ করিয়ে নেওয়া এই সিদ্ধান্তের প্রকৃত কারণ।''
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ''রাজ্যগুলি ও কৃষক সংগঠনগুলির সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা ছাড়াই কৃষি বিল আনা হয়েছিল। সংসদীয় স্ক্রুটিনি না করিয়ে, বিরোধীদের উপেক্ষা করে, সংসদীয় নিয়ম ও ঐতিহ্য ভেঙে কৃষি আইন পাশ করানো হয়েছে। এই আইনগুলির সাংবিধানিক বৈধতা নিয়েই বড়সড় প্রশ্ন রয়েছে।'' এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীকে একহাত নিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, ''প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপি সরকার উদ্ধত ও অগণতান্ত্রিক আচরণ করেছে। সরকারের এই অমানবিকতায় ব্যথিত হয়ে আমরা, এই রাজনৈতিক দলগুলি, কৃষকবিরোধী আইন বাতিলের সম্মিলিত দাবি জানাচ্ছি এবং ভারতীয় কৃষকদের স্বার্থে আমরা 29 জানুয়ারি, শুক্রবার সংসদের উভয় কক্ষে রাষ্ট্রপতির ভাষণ বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।''