পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / bharat

Brutal Murder in Hyderabad: বন্ধুর মাথা-আঙুল-হৃদপিণ্ড কেটে সেলফি তোলার অভিযোগ, আত্মসমর্পণ যুবকের

সম্পর্কে দু'জন বন্ধু ৷ কিন্তু বন্ধুত্ব ভাঙল প্রেমিকাকে ঘিরে ৷ পরিণতি খুন ৷ বন্ধুকে ছুরি দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে তাঁর হৃদপিণ্ড বের করে আনল যুবক ৷ দেহের অংশের সঙ্গে নিজের ছবি তুললও সে ৷ পরে নিজেই গেল থানায় (Friend beheads friend, rips out his heart) ৷

Murder
খুন

By

Published : Feb 26, 2023, 9:59 AM IST

হায়দরাবাদ, 26 ফেব্রুয়ারি: গার্লফ্রেন্ড আর বন্ধুর মধ্যে ফোনে কথা হয় ! তাতেই মাথায় আগুন চড়ল প্রেমিকের ৷ তার জেরে যা করে বসল সে, তা রীতিমতো হাড় কাঁপানো ! গার্লফ্রেন্ডে সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছে বন্ধু তথা তাঁরই প্রাক্তন প্রেমিক ৷ তাই তাঁকে নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগ উঠল বন্ধুর বিরুদ্ধে ৷ শুধু খুনেই শেষ হয়নি প্রতিশোধ ৷ অভিযুক্ত মৃত বন্ধুর মাথা কেটে আলাদা করে । দেহ টুকরো টুকরো করে । এমনকী আঙুলগুলিও বাদ যায়নি। দেহাংশের সঙ্গে সেলফিও তুলেছে যুবক ৷ ভয়ানক এই কাণ্ডটি ঘটেছে হায়দরাবাদের আবদুল্লাপুরমেটে (Friend brutally murders friend as he contacts girlfriend) ৷

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর কুড়ির নেনাওয়াত নবীন নাগারকুরনুল জেলার বাসিন্দা ৷ তিনি মহাত্মা গান্ধি বিশ্ববিদ্যালয়ে বি-টেকের চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্র এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে থাকতেন ৷ তাঁর বন্ধু ওয়ারাঙ্গল জেলার বাসিন্দা পেরালা হরিহরকৃষ্ণা হায়দরাবাদের অরোরা কলেজে বিটেক পড়ে ৷ দিলসুখনগরের আইডিয়াল কলেজে ইন্টার পড়াকালীন দু'জনের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে ৷

এর মধ্যে নবীনের সঙ্গে একটি মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ৷ এই বিষয়টি জানত হরিহরকৃষ্ণা ৷ দু'বছর আগে নবীন ও তাঁর প্রেমিকার মধ্যে ঝামেলা বাধে ৷ সম্পর্কে সাময়িক ইতি টানে দু'পক্ষ ৷ এরপর হরিহরকৃষ্ণা বন্ধুর প্রাক্তন প্রেমিকাকে ভালোবাসার প্রস্তাব দেয় ৷ পরে হরিহরকৃষ্ণা জানতে পারে, তাঁর বন্ধু তথা মেয়েটির প্রাক্তন প্রেমিক নবীন আবার তাঁর গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করছেন ৷ এতে হরিহরকৃষ্ণার সন্দেহ হয় ৷ তাই সে বন্ধু নবীনকে খুনের পরিকল্পনা করে বলে অভিযোগ ৷

আরও পড়ুন: সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ, পরিবারের 4 সদস্যকে কুপিয়ে খুন মহিলার !

পুলিশের অনুমান, দু'মাসের কিছু সময় আগে হায়দরাবাদ থেকে একটি ছুরি কেনে হরিহরকৃষ্ণা ৷ 17 ফেব্রুয়ারি বন্ধুদের একটি গেট-টুগেদার অনুষ্ঠান হবে জানিয়ে নবীনকে আমন্ত্রণ জানায় ৷ স্থানীয় এলবি নগরে নবীনের সঙ্গে হরিহরকৃষ্ণার দেখা হয় ৷ দুই বন্ধু শহরের এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়ায় ৷ নবীন হস্টেলে ফিরতে চাইলে হরিহরকৃষ্ণা নবীনকে বাইকে করে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে ৷ হায়াতনগর পেরিয়ে গিয়ে হরিহরকৃষ্ণা মদ কেনে ৷ দূরে একটি নির্জন স্থানে নবীনকে নিয়ে যায় হরিহরকৃষ্ণা ৷

মধ্যরাতের পর হরিহরকৃষ্ণা গার্লফ্রেন্ডের প্রসঙ্গ তোলে ৷ তারপর চটে গিয়ে নবীনকে ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করতে থাকে ৷ আক্রমণ এতটাই অতর্কিত ছিল যে, অল্প সময়ের মধ্যেই প্রাণ য়ায় নবীনের ৷ মৃত্যু নিশ্চিত হলে অভিযুক্ত নবীনের জামাকাপড়গুলি ছুড়ে ফেলে দেয় ৷ হরিহরকৃষ্ণা তাঁর দেহ থেকে মাথাটি কেটে আলাদা করে, বুক কেটে হৃদপিণ্ডটিও বের করে আনে ৷ এরপর দেহ টুকরো টুকরো করে, আঙুলগুলিও কেটে নেয় ৷ তদন্তকারীদের দাবি খুনের সময় অভিযুক্ত হাতে গ্লাভস পরে ছিল ৷

এদিকে নবীনের হস্টেলের বন্ধুরা 8.20 মিনিট নাগাদ তাঁকে প্রথম ফোনে ফোন করে ৷ তখন নবীন জানান তিনি ফিরবেন ৷ কিন্তু মাঝরাতের পরেও তিনি হস্টেলে ফেরেনি ৷ ফের হস্টেল থেকে নবীনকে ফোন করা হয় ৷ তখন ফোনটি সুইচড অফ ছিল ৷ নবীনের বন্ধুরা তাঁর গার্লফ্রেন্ডকে ফোন করেন ৷ তিনি জানান, নবীনের সঙ্গে তাঁর কথা হয়নি । এরপর তিনি হরিহরকৃষ্ণার ফোন নম্বরটি দেন ৷ এবার বন্ধুরা হরিহরকৃষ্ণাকে ফোন করলে, সে জানায় নবীনকে শুক্রবার রাতে আবদুল্লাহপুরমেটে নামিয়ে দিয়েছে ৷ শুধু তাই নয় নবীনের না ফেরা নিয়ে বিস্ময়ও প্রকাশ করে ।

নবীনের বাবা ও পরিবারের অন্য সদস্যরা বিষয়টি জানতে পারেন ৷ তাঁরাও হরিহরকৃষ্ণার সঙ্গে যোগাযোগ করেন ৷ তাঁদেরও সে একই কথা বলে এবং এও জানায় যে নবীনের নিখোঁজ নিয়ে হায়দরাবাদে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করুন ৷ 21 ফেব্রুয়ারি নবীনের বাবা ও কাকা আবদুল্লপুরমেট থানায় এসে হরিহরকৃষ্ণাকে ফোন করেন ৷ তখন তার ফোনটি সুইচড অফ ছিল ৷ এরপর নারকাটপল্লি থানায় নবীনের নিরুদ্দেশ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন ৷ 22 ফেব্রুয়ারি তাঁরা নারকাটপল্লি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ৷ তদন্ত শুরু হয় ৷

নবীনের নিখোঁজ-তদন্তে পুলিশ হরিহরকৃষ্ণার ব্যাপারে খোঁজ নেয় ৷ পরিবারের সদস্যরা জানান, দু'দিন ধরে তাঁরা হরিহরকৃষ্ণার খোঁজ পাচ্ছেন না ৷ 21 তারিখ থেকে সে বাড়ি ফেরেনি ৷ জানা যায়, শুক্রবার রাতে ভয় পেয়ে হরিহরকৃষ্ণা আবদুল্লাপুরমেট থানায় আত্মসমর্পণ করেছে হরিহরকৃষ্ণা ৷ তাকে জেরা করে নবীনের দেহের হদিশ পায় পুলিশ ৷ পেড্ডামবেরপেটে তাঁর দেহের অংশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ৷ নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছে নবীনকে ৷ পুলিশের সন্দেহ হয়, সে খুন করে সেই ছবিগুলি বন্ধুদের পাঠিয়েছে ৷ তার ফোন বাজেয়াপ্ত করে পরীক্ষানিরীক্ষা করছে পুলিশ ৷

আরও পড়ুন: মৃতদেহের পাশে সিগারেটের শেষাংশ ! 52 বছর পর খুনের সমাধান

ABOUT THE AUTHOR

...view details