নয়াদিল্লি, 30 ডিসেম্বর:উত্তর ভারতে শীতের দাপট চলছেই ৷ জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়েছে দিল্লি ও এনসিআর এলাকায় ৷ বেশ কয়েকদিন ধরেই ঠান্ডার সঙ্গে ঘনকুয়াশা অব্যাহত৷সপ্তাহান্তে শনিবারও কুয়াশার চাদরে মুড়ল দিল্লি ৷ এদিন রাজধানীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল 10.7 ডিগ্রি সেলসিয়াস ৷ ইন্ডিয়ান মেট্রোলজিক্যাল বিভাগ বা মৌসম ভবনের পক্ষ থেকে কুয়াশার জন্য সেখানে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে ৷
এদিন মৌসম ভবনের পক্ষ থেকে টুইট করে কুয়াশার কথা জানানো হয়েছে ৷ সেই সঙ্গে এই টুইটেই উল্লেখ করা হয়েছে, পঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, উত্তর রাজস্থান এবং উত্তর মধ্যপ্রদেশে ঘন কুয়াশার ঢেকেছে ৷ গাড়ি চালানোর সময় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন ৷ সেই সঙ্গে গাড়ি চালানোর সময় চালকদের 'ফগ লাইট' ব্যবহারেরও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ৷ প্রয়োজনে স্থানীয় এয়ারলাইন্স, রেলপথ এবং রাজ্য পরিবহণ দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া দিয়েছে মৌসম ভবন ৷ দুর্ঘটনা এড়াতে ধীরে গাড়ি চানালোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে মৌসম ভবনের পক্ষ থেকে ৷ বিমান বন্দর, রেল পথ ও জাতীয় সড়কে গাড়ি চালানোর ব্যপারেও সাবধানতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ৷
ঘন কুয়াশার কারণে রাজধানীতে যাতায়াতকারী যাত্রীরাও অসুবিধায় পড়েছেন। কম দৃশ্যমানতার কারণে বিমান এবং ট্রেনগুলিও ধীরে চলছে । বেশকিছু ট্রেনের গতিপথের পরিবর্তন করা হয়েছে ৷ সূত্র অনুসারে, শনিবার সকাল 8.30 টা পর্যন্ত দিল্লির ইন্দিরা গান্ধি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় 80টি বিমান দেরিতে পৌঁছয় ঘন কুয়াশার কারণে ৷ দিল্লি থেকে সিকিমগামী এক যাত্রী এই প্রসঙ্গেই বলেন, "কুয়াশা এবং আবহাওয়ার প্রতিকূলতার কারণে আমাদের উড়ান দুই ঘণ্টা দেরিতে চলছে ৷" স্থানীয় অটো ও ক্যাব চালকরা জানিয়েছেন, শুক্রবারের তুলনায় আজ কুয়াশা একটু কম ছিল ৷ তাই দৃশ্যমানতা ছিল বেশ । যে পথ সাধারণত 40 মিনিট লাগে, কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় সেই পথ যেতে প্রায় 2 ঘণ্টা সময় লাগছে ৷"
মৌসম ভবন প্রকাশিত তথ্য অনুয়ায়ী, শনিবার বিকেল 5.30 মিনিট পর্যন্ত রেকর্ড করা দৃশ্যমানতা ছিল ৷ পন্তনগর এলাকায় 200 শতাংশ, পঞ্জাব-লুধিয়ানায়-200, হরিয়ানা ও ভিভানি-500, দিল্লি- সফদারজং-500, উত্তর প্রদেশের বেরেলি, বাহরাইচ এবং প্রয়াগরাজ 200, আলীগড়, লখনউ, গোরখপুর, ফুরসাতগঞ্জ, বাবাতপুর এবং সুলতানপুর - 500 শতাংশ দৃশ্যমানতা ছিল । রাজস্থানের গঙ্গানগর এলাকায় দৃশ্যমানতা ছিল 500, বিহারের গয়া 200, মুজাফফরপুর এবং পটনায় 500 শতাংশ, আসামের হাফলং 200 শতাংশ দৃশ্য়মানতা ছিল বলে জানানো হয়েছে মৌসম ভবনের পক্ষ থেকে ৷ আবহাওয়ার প্রতিকূলতার মধ্যে রাজধানীতে কুচকাওয়াজের মহড়া চলছে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রস্তুতির জন্য ৷
আরও পড়ুন:
- নতুন বছরে ফিরতে পারে কনকনে শীত, বঙ্গে আপাতত দাপট দেখাবে কুয়াশা
- কুয়াশার দাপটে রেল-সড়ক পথে যান চলাচলে দেরি, বড়দিনে পারদ আরও চড়তে পারে
- ভোরে দিল্লির দৃশ্যমানতা নামল 50 মিটারে, ঘন কুয়াশার জেরে বিঘ্নিত বিমান পরিষেবা; প্রভাব ট্রেন চলাচলেও