নিউ দিল্লি ও ওয়াশিংটন, 4 মে : জরুরি কোভিড সরঞ্জাম বোঝাই মার্কিন বিমানের ভারতে আসার কথা ছিল ৷ সোমবার পেন্টাগনের তরফে জানানো হয়েছে, রক্ষণাবেক্ষণজনিত সমস্যার কারণে সেই বিমান ভারতে পৌঁছাতে বুধবার কেটে যেতে পারে ৷
পেন্টাগনের মুখপাত্র জানিয়েছেন, "আমরা সবেমাত্র ইউএসটিআরএএনএসসিওএম-এর থেকে জানতে পেরেছি যে বিমানগুলির কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে, তাই ভারতে পৌঁছানো বুধবার অবধি পিছিয়ে গিয়েছে ৷" এখনো পর্যন্ত দু'টি মার্কিন বিমান বাহিনীর বিমান এসেছে ভারতে ৷
কোভিডের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নিয়ে তিনটি সি-5 সুপার গ্যালাক্সি আর একটি সি-17 গ্লোবমাস্টার বিমানের ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা ছিল সোমবার ৷ তবে এই দেরির জন্য ভারতের করোনা সংকটের উপর কী প্রভাব পড়বে, তা নিয়ে কিছু জানায়নি আমেরিকা ৷
সারা বিশ্বে ভারতের কোভিড সংক্রমণের অবস্থা ভয়ঙ্কর ৷ এদিন সকালে পেন্টাগন প্রেস সেক্রেটারি জন কার্বি আশ্বস্ত করেছেন যে, তিনটি সি-5 সুপার গ্যালাক্সি বিমান আর একটি সি-17 গ্লোবমাস্টার ভারতে প্রয়োজনীয় ওষুধ-সহ সরঞ্জাম সরবরাহ করার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাবে ৷ এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "ভারতীয়দের কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারত সরকারকে আমরা সাহায্য পাঠিয়ে যাব ৷"
আরও পড়ুন: ভারতকে 510 কোটি টাকারও বেশি মূল্যের ওষুধ পাঠাচ্ছে ফাইজ়ার
তিনি আরো বলেন, "ভারতীয় আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি, যদি হঠাৎ কোনো প্রয়োজন পড়ে ৷ ডিফেন্স সেক্রেটারি ভারতে তাঁর কাউন্টারপার্টকে পরিষ্কার জানিয়েছেন যে, আমরা আমাদের সাধ্যমতো সাহায্য করে যাব ভারতকে ৷"
ইতিমধ্যে, সেনেটর অ্যামি ক্লবুসার জানিয়েছেন, ভারতের করোনা পরিস্থিতি এটাই মনে করিয়ে দেয় যে, "যখন সর্বত্র কোভিড-19-কে হারাতে পারব, তখনই শুধুমাত্র আমরা কোভিডকে হারিয়ে জয়ী হব ৷" এই সংকটের সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সব রকম ভাবে তার বন্ধু দেশের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ৷
বাইডেন সরকার ভারতের প্রতি খুব দ্রুত সদর্থক পদক্ষেপ করলেও ভারতের এই পরিস্থিতি সহ্য করা যাচ্ছে না, জানিয়েছেন কংগ্রেস সদস্য অ্যালান লোয়েনথাল ৷ তাঁর কথায়, "ভ্যাকসিন নিয়ে আমাদের আরো কিছু করা দরকার ৷ নতুন ভয়ঙ্কর এই ভ্যারিয়ান্টকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, আর মানুষের জীবন বাঁচানোর দায়িত্ব রয়েছে আমাদের ৷"
কংগ্রেস সদস্য কোরি বুশ টুইটে জানিয়েছেন, "ভারত সংকটে রয়েছে ৷ প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ভারতে কোভিডের সরঞ্জাম, ভ্যাকসিন পাঠানোর সিদ্ধান্ত খুবই জরুরি পদক্ষেপ ৷ এবার ভ্যাকসিন পেটেন্টেও ছাড়পত্র দিয়ে তার উৎপাদন বাড়ানো দরকার, যাতে সারা বিশ্বে তা পাঠানো যায় ৷ জীবন বাঁচানোর জন্য সর্বত্র কাজ করতে হবে আমাদের ৷"