নয়াদিল্লি, 20 নভেম্বর:তেলেঙ্গানার ক্ষমতা দখলে এবার মরিয়া কংগ্রেস ৷ সেই লক্ষ্যে এবার এই দল মন দিয়েছে ছোট ছোট গোষ্ঠীর মধ্যে গিয়ে প্রচারে, যাকে বলা হচ্ছে প্রচারের মাইক্রো ম্যানেজিং ৷ বিভিন্ন জনগোষ্ঠী ও সামাজিক গোষ্ঠীর মধ্যে গিয়ে তাদেরর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি তুলে ধরছে কংগ্রেস ৷ 119 আসন বিশিষ্ট তেলেঙ্গানা বিধানসভায় আগামী 30 নভেম্বর নির্বাচন, ফল ঘোষণা 3 ডিসেম্বর ৷
2013 সালে অন্ধ্রপ্রদেশ ভেঙে তেলেঙ্গানা তৈরি হওয়ার পর থেকে এই রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে পারেনি কংগ্রেস ৷ টানা এতবছর রাজ্যে ক্ষমতায় থাকায় ক্ষমতাসীন বিআরএস এর বিরুদ্ধে তৈরি হয়েছে প্রবল প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া ৷ প্রচারে নিজেদের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরার পাশাপাশি, কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের নেতৃত্বাধীন বিআরএস-এর ব্যর্থতাও তুলে ধরছে কংগ্রেস ৷
তাঁদের প্রচার প্রসঙ্গে ইটিভি ভারতের সঙ্গে কথা বলেছেন এআইসিসি সেক্রেটারি বিএম সন্দীপ কুমার ৷ তিনি বলেন, "আমরা মাইক্রো-ম্যানেজমেন্ট শুরু করেছি, যার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন কমিউনিটির কাছে পৌঁছে যাওয়া, বুথ ম্যানেজমেন্ট এবং দলের প্রতিশ্রুতি সম্বলিত গ্যারান্টি কার্ড বিতরণ করা । অভিযানের অংশ হিসেবে আমরা বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সদস্যদের নিয়ে ছোট ছোট কর্নার মিটিং শুরু করেছি । এই ধরনের আলোচনা চলাকালীন আমরা তাদের কাছে দলের প্রতিশ্রুতি ব্যাখ্যা করছি এবং তাদের সমর্থন চাইছি । এটি প্রচারের একটি প্রভাবশালী উপায় ৷"
দলের বিভিন্ন নেতার মতে, কাম্মা, কাপা, এসসি, এসটি, মুসলিম এবং খ্রিস্টানদের পাশাপাশি উচ্চবর্ণের রেড্ডির মতো ওবিসিদের কাছেও তাঁদের বার্তা নিয়ে পৌঁছে যাচ্ছেন কংগ্রেস কর্মীরা । সম্প্রতি, প্রাক্তন প্রজা রাজ্যম পার্টির নেতা ডক্টর পি বিনয় কুমার তাঁর দলকে কংগ্রেসের সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছেন ৷ মাদিকা সম্প্রদায়ের একজন প্রভাবশালী প্রাক্তন সাংসদও শতাব্দী প্রাচীন এই দলে যোগ দিয়েছেন৷
কংগ্রেস খ্রিস্টানদের পাশাপাশি রাজ্যের 13 শতাংশ মুসলিম ভোটকেও আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছে এবং গত সপ্তাহে সেকেন্দ্রাবাদ, কালওয়াকুর্থি এবং শাদনগর এলাকায় বেশ কয়েকটি সংখ্যালঘু সম্মেলন করেছে তারা । “মুসলিম এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের চাহিদার প্রতি কংগ্রেসের নজর রয়েছে, সেই মতো প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হচ্ছে ৷ বিআরএস শুধুমাত্র মুখেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য উন্নয়নের কথা বলে,” দাবি তেলেঙ্গানার দায়িত্বে থাকা এআইসিসি সেক্রেটারি মনসুর খানের ।