নয়াদিল্লি, 22 সেপ্টেম্বর: 2024 সালের লোকসভা নির্বাচনের লড়াইয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে নতুন দু’টি ‘অস্ত্র’ ব্যবহারের কৌশল নিয়েছে কংগ্রেস ৷ তারা এখন জাতিগণনা ও মহিলাদের আসন সংরক্ষণের ইস্যুতে কোটার বিষয়টি নিয়েই সবচেয়ে বেশি সরব হতে চাইছে ৷ এই নিয়ে বিরোধীদের ‘ইন্ডিয়া’ জোটে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলতে চায় কংগ্রেস ৷ লোকসভা ও রাজ্যসভায় যে মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশ হয়েছে, সেটা নিয়ে ইতিমধ্যেই কৃতিত্ব দাবি করতে শুরু করেছে বিজেপি ৷ তার পালটা হিসেবেই এই কৌশল নিতে চলেছে কংগ্রেস ৷ ইতিমধ্যেই এই বিষয় নিয়ে সরব হতে শুরু করেছেন কংগ্রেসের নেতারা ৷
আইনসভায় মহিলাদের আসন সংরক্ষণ সংক্রান্ত এই বিল শেষবার 2010 সালে রাজ্যসভায় পাশ হয় ৷ সেই সময় কেন্দ্রের ক্ষমতায় কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার ৷ সেই সময় কংগ্রেসের শরিক সমাজবাদী পার্টি, আরজেডি এবং বিরোধী বিজেপির বিরোধিতার জেরে লোকসভায় ওই বিল পাশ করানো যায়নি ৷ তখন সপা ও আরজেডি ওই সংরক্ষণ বিলে তফসিলি জাতি ও উপজাতি এবং ওবিসিদের জন্য আলাদা কোটার দাবি তুলেছিল ৷ যাতে কংগ্রেস রাজি না থাকায় সেই সময় বিল পাশ করানো যায়নি ৷
এখন অবশ্য কংগ্রেস তার অবস্থান বদল করেছে ৷ আর মহিলা সংরক্ষণ বিলে ওবিসিদের আলাদা কোটা দেওয়ার দাবি তুলেছে৷ এই নিয়ে এআইসিসি-র ওবিসি বিভাগের চেয়ারম্যান অজয় যাদব ইটিভি ভারতকে বলেন, “ইন্ডিয়া জোটের দলগুলি যেমন সমাজবাদী পার্টি, রাষ্ট্রীয় জনতা দল এবং এমনকি ডিএমকেও মহিলাদের সংরক্ষণ বিলের সামগ্রিক 33 শতাংশ কোটার মধ্যে থেকে তফসিলি জাতি, তফসিলি উপজাতি এবং ওবিসি-র জন্য সংরক্ষণ নিয়ে আমাদের দাবিকে সমর্থন করেছে ।’’
তিনি আরও বলেন, “ইন্ডিয়া জোট এই ইস্যুতে এক এবং আমরা আগামী দিনগুলিতে কোটার মধ্যে নতুন জাতিগণনা এবং কোটার দাবিতে চাপ বজায় রাখব । বিজেপি বিল পাশ করার জন্য কৃতিত্ব দাবি করার চেষ্টা করতে পারে, কিন্তু বাস্তবতা হল অধিকাংশ দল সংসদে এই আইনটিকে সমর্থন করেছে । অন্যথায়, বিলের জন্য এত বিপুল সমর্থন পাওয়া সম্ভব ছিল না ৷’’