বিশাখাপত্তনম, 27 অক্টোবর: মাঝরাতে বীর বিক্রমে চার সশস্ত্র ডাকাতের সঙ্গে লড়াই করে লুটপাটের চেষ্টা রুখে দিলেন এক গৃহবধূ (Woman Foils Robbery Attempt)৷ তবে তিনি ছুরির আঘাতে গুরুতর জখম হয়েছেন ৷ হাসপাতালের আইসিইউ-তে তাঁর চিকিৎসা চলছে (Brave woman foils midnight robbery attempt)৷
মঙ্গলবার অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) বিশাখাপত্তনমের কাছে চিমলাপল্লি গ্রামে মাঝরাতে চার ডাকাত ঢুকে পড়ে লাবণ্যর বাড়িতে ৷ পুলিশ জানিয়েছে, প্রয়াত আল্লা আপ্পারাও রেখে গিয়েছেন তাঁর স্ত্রী ললিতা কুমারী এবং ছেলে বিনয় কুমার ও অবিনাশ কুমারকে ৷ সম্প্রতি অবিনাশের বিয়ে হয়েছে লাবণ্যর সঙ্গে ৷
মঙ্গলবার রাতে অবিনাশ কর্মসূত্রে বাইরে গিয়েছিলেন ৷ রাতে একটি ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন বাড়ির সদস্যরা ৷ লাবণ্য ছিলেন নিজের ঘরে ৷ রাত প্রায় দেড়টা নাগাদ জানলার গ্রিল ভেঙে বাড়িতে ঢুকে পড়ে চার ডাকাত ৷ লাবণ্যের ঘরের দরজা ভেঙে সেখানে ঢুকে লুঠপাট শুরু করে তারা ৷ আওয়াজ পেয়েই ঘুম ভেঙে যায় লাবণ্যর ৷ তিনি এতটুকুও ভয় না পেয়ে বাধা দেন ডাকাতদের ৷ চিৎকার করতে শুরু করেন ৷ তাঁকে থামানোর জন্য ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি তাঁকে আঘাত করতে শুরু করে ডাকাতরা ৷ তবে তাতেও এতটুকু দমে না গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় লড়াই চালিয়ে যান লাবণ্য ৷ কোনওক্রমে ওই ঘর থেকে বেরিয়ে তিনি চিৎকার করে সবাইকে ডাকতে থাকেন ৷ তাঁর চিৎকার শুনে কাকা, কাকিমা ও ভাসুর বেরিয়ে আসার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন ৷ কারণ আগেই তাঁদের ঘর বাইরে থেকে বন্ধ করে দিয়েছিল ডাকাতরা ৷
আরও পড়ুন:জগৎবল্লভপুরে ডাকাতির ঘটনায় বিহার থেকে গ্রেফতার 2
তবে আঘাত সত্ত্বেও লাবণ্য ক্রমাগত চিৎকার করে গেলে পাড়ার লোক জড়ো হয়ে যান ৷ তখন ভয়ে সেখান থেকে পালায় ডাকাত দল ৷ লাবণ্যকে নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ছোটে তাঁর পরিবার ৷ তাঁকে বর্তমানে আইসিইউ-তে রাখা হয়েছে ৷ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করেছে ৷ শুরু হয়েছে তদন্ত ৷ অপরাধীদের দ্রুত ধরার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ৷