কলকাতা, 5 অগাস্ট : "জোরজবরদস্তি সংসদের অধিবেশন বসালে তাতে অনুপস্থিত থাকবে তৃণমূল কংগ্রেস।" কোরোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যে যাতে সংসদের অধিবেশন না বসানো হয় তার জন্য লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে এমনই জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, "দলের তরফ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতামত স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। না শুনলে আমরা এ বিষয়ে অসহায়। অনুপস্থিত থাকতে বাধ্য হব।"
লোকসভা ও রাজ্যসভার উভয় কক্ষে অধিবেশন বসেছে 23 মার্চ। নিয়ম অনুযায়ী ছয় মাসের মধ্যে আরও একটি অধিবেশন বসাতে হয়। সেইমতো চলতি মাসে অধিবেশন বসাতে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা তোড়জোড় শুরু করেছেন বলে খবর। তিনি সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। মতামত নিচ্ছেন। এ বিষয়ে সম্প্রতি মতামত দিতে তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও কথা বলেন। ওম বিড়লাকে সুদীপ জানিয়ে দেন দলের অবস্থানের কথা। তিনি জানান, "জোরকরে অধিবেশন বসালে আমরা অনুপস্থিত থাকব। যদি না শোনেন সে ক্ষেত্রে আমাদের করার কিছু নেই। আমরা অসহায়।"
কোরোনা সংক্রমণের মধ্যে অধিবেশন বসলে যোগ দেবে না তৃণমূল
চলতি মাসে অধিবেশন বসাতে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা তোড়জোড় শুরু করেছেন ৷ এই বিষয়ে তিনি সমস্ত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলছেন ৷ তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গেও তিনি অধিবেশন বসানো নিয়ে কথা বলেন ৷ তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়ে জানান, তাঁর দলের পক্ষে কেউই সংসদের অধিবেশনে যোগ দিতে পারবেন না ৷
লোকসভার অধিবেশন ভার্চুয়াল হবে নাকি প্রথা মতো সকলে একসঙ্গে বসে হবে, তা এখনও চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এমনকী কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি অধিবেশন না হওয়া নিয়েও। জানা গেছে, শুধুমাত্র লোকসভা অধিবেশন নয়, রাজ্যসভা অধিবেশনের ক্ষেত্রেও একই অবস্থান তৃণমূল কংগ্রেসের। প্রসঙ্গত, কোরোনা আবহে তৃণমূল কংগ্রেস সংসদ ভবন এরিয়া থাকার প্রয়াস একদম প্রথম থেকেই নিয়েছে। নবনির্বাচিত তৃণমূলের চার জন রাজ্যসভার সাংসদের শপথ এখনও পর্যন্ত হয়নি। এই চারজন হলেন, সুব্রত বক্সি, অর্পিতা ঘোষ, মৌসম বেনজির নুর এবং দীনেশ ত্রিবেদী। ফলে কোরোনার প্রকোপ চলাকালীন সংসদ অধিবেশন বসুক চাইছে না তৃণমূল কংগ্রেস।