দিল্লি, 22 অগাস্ট : সোম থেকে শুক্র, সপ্তাহে পাঁচ দিনই অযোধ্যার রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ মামলার শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টে ৷ আজ শুনানির দশম দিন । গোপাল সিং বিশারদের হয়ে সওয়াল করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট রঞ্জিত কুমার ৷ আদালতে আজ রঞ্জিত কুমার দাবি করেন, "1949 সালের 29 ডিসেম্বর অযোধ্যা পুলিশ স্টেশনে মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের ডাকা হয় । তাদের মধ্যে আবদুল ঘনি নামে এক প্রতিনিধি জায়গাটিকে রামজন্মভূমি বলে উল্লেখ করেছিলেন । বলেছিলেন যে বিতর্কিত জমিতে মসজিদ তৈরি হয় সেখান থেকে মূর্তি সহ আরও কিছু সামগ্রী পাওয়া গেছিল । এমন একটি বিতর্কিত জমিতে মসজিদ নির্মাণ শরিয়ত আইন বিরোধী । তাই বিতর্কিত স্থানটি হিন্দুদের হস্তান্তর করা উচিত বলে আবদুল ঘনি জানিয়েছিলেন ।"
বিতর্কিত জমিতে মসজিদ নির্মাণ শরিয়ত আইন বিরোধী, অযোধ্যা মামলায় বললেন আইনজীবী
আজ রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ মামলার শুনানির দশম দিন । গোপাল সিং বিশারদের হয়ে সওয়াল করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট রঞ্জিত কুমার ৷
প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ রঞ্জিত কুমারের বক্তব্য শোনে । এরপর বিচারপতিদের মধ্যে এস এ বোবদে রঞ্জিত কুমারকে জিজ্ঞাসা করেন যে, আবদুল ঘনি কোন সম্প্রদায়ের । এর জবাবে রঞ্জিত কুমার বলেন, "আমাকে জানানো হয়েছে আবদুল ঘনি সুন্নি ছিলেন ।" এরপর রঞ্জিত কুমার আরও বলেন, "20 জন ব্যক্তি 14টি হলফনামা জমা দিয়ে জানিয়েছে যে, বিতর্কিত স্থানে একটি মন্দিরের অস্তিত্ব ছিল । আমার মক্কেল গোপাল সিং বিশারদ আদালতের সামনে সেই তথ্যটাই তুলে ধরছে ।"
এরপর প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ পালটা প্রশ্ন করেন, "এই হলফনামাগুলি আপনি কোন আবেদনের মাধ্যমে জোগাড় করেছেন । এই হলফনামার প্রেক্ষিতে আদালতে রায় কী ছিল ?" এর জবাবে রঞ্জিত কুমার আদালতের উদ্দেশে বলেন, "সেখানে অনেক বছর ধরেই পূজা হয়ে আসছে । পূজা করার অধিকার কেউ অস্বীকার করতে পারে না ।" এরপর তিনি এমন দুটি রায়কে উদ্ধৃত করেন যেখানে পূজার অধিকারকে সমর্থন করা হয়েছে ।