দিল্লি, ২২ ফেব্রুয়ারি : পুলওয়ামা হামলা চলাকালীন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নাকি শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন ! একটি ছবি প্রকাশ্যে আসার পর তা নিয়ে প্রচার শুরু করেছে কংগ্রেস। কিন্তু, সরকারি সূত্র বলছে, এই খবর ভুয়ো। আদতে পুলওয়ামা হামলার কথা শুনে প্রধানমন্ত্রী কিছুই খাননি।
গতকাল একটি ছবি শেয়ার হয়। সেখানে দেখা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শুটিংয়ে ব্যস্ত। কংগ্রেস অভিযোগ তোলে, পুলওয়ামা হামলার দিনই এই শুটিং চলছিল। দুপুর ৩টে ১০-এ পুলওয়ামা হামলা হয়। আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুটিং করছিলেন সন্ধে ৭টা পর্যন্ত।
কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, "ক্ষমতায় এসে প্রধানমন্ত্রী রাজধর্ম ভুলে গেছেন। প্রধানমন্ত্রী হামলা সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল ছিলেন। তারপরও শুটিংয়ে ব্যস্ত ! এদিকে নিজেকে জাতীয়তাবাদী হিসেবে গর্ব করেন।" তিনি দাবি করেন, "সন্ধে ৭টার সময় PWD গেস্ট হাউজ়ে চা, সিঙারাও খেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।"
কংগ্রেস মুখপাত্র এই অভিযোগ আনার পর বিতর্ক শুরু হয়। এরপর সরকারি সূত্র প্রধানমন্ত্রীর সেদিনের (১৪ ফেব্রুয়ারি) কর্মসূচি সামনে আনেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে, সকাল ৭টার মধ্যে দিল্লি ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী। দেরাদুন পৌঁছান। খারাপ আবহাওয়ার কারণে সেখানে ৪ ঘণ্টা আটকে ছিলেন। সকাল ১১টা ১৫-তে জিম করবেট জাতীয় উদ্যানে যান। ঘণ্টা তিনেক ছিলেন। দুপুর ৩টের সময় রুদ্রপুরে তাঁর জনসভা ছিল। কিন্তু, খারাপ আবহাওয়ার কারণে তা বাতিল হয়ে যায়। এরপরই ঘটে পুলওয়ামা হামলা। সঙ্গে সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী ফোন করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংকে। পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত হন। রামপুর গেস্টহাউজ়ে পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী ফের ডোভাল, রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে কথা বলেন। কিছুই খাননি তিনি। ৭টার পর রামপুর ছাড়েন। দিল্লি পৌঁছান বেশ খানিকটা পর।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবি শংকর প্রসাদও স্পষ্ট জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী সেদিন কোনও শুটিং করেননি। তবে, চ্যানেল কর্তৃপক্ষ (যাদের হয়ে মোদি শুটিং করেছেন বলে অভিযোগ এনেছে কংগ্রেস) এখনও এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।