দিল্লি, 23 জুলাই : কাশ্মীর ইশুতে তাঁকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ! অ্যামেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই দাবি নস্যাৎ করল বিদেশমন্ত্রক । আজ হোয়াইট হাউজ়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প । পরে সাংবাদিকদের সামনে তিনি কাশ্মীর ইশু তুলে ধরেন ।
যৌথ সাংবাদিক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, "2 সপ্তাহ আগে আমি মোদির সঙ্গে ছিলাম । বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হচ্ছিল । উনি আমাকে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করতে বললেন । আমি জিজ্ঞাসা করলাম কোথায় ? বললেন, "কাশ্মীরে ।" কারণ, এই ইশু বছর বছর ধরে চলছে । মোদি কাশ্মীর সমস্যার সমাধান চান । ইমরানও চায় । আমি যদি কোনও সাহায্য করতে পারি, তাহলে অবশ্যই মধ্যস্থতাকারী হতে রাজি ।" পরক্ষণেই ইমরান বলেন, "যদি মধ্যস্থতাকারী হিসেবে আপনি এই সমস্যার সমাধান করতে পারেন তাহলে কোটি কোটি মানুষের শুভেচ্ছা আপনার সঙ্গে থাকবে ।"
আলোচনা চলছে ইমরান খান ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের ট্রাম্পের মন্তব্যের পরই প্রতিক্রিয়া দেয় বিদেশ মন্ত্রক । মুখপাত্র রবীশ কুমার টুইট করেন, 'এই ধরনের কোনও আবেদন করেননি প্রধানমন্ত্রী । '
প্রসঙ্গত, গত মাসে জাপানের ওসাকায় G-20 সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় । সেখানে উপস্থিত ছিলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও প্রধানমন্ত্রী মোদি । ছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও । যদিও তাঁদের মধ্যে কোনও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়নি ।
কাশ্মীর ইশুতে একাধিকবার মধ্যস্থতাকারীর সাহায্য চেয়েছে পাকিস্তান । যদিও 'দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে তৃতীয় পক্ষের নাক গলানো উচিত নয়' বলে জানিয়েছে ভারত । এর আগে দিল্লির বক্তব্যের সঙ্গে সহমত পোষণ করেছে অ্যামেরিকা । তারা জানিয়েছিল, কাশ্মীর ইশু দ্বিপাক্ষিক বিষয় । এর সমাধান দিল্লি ও ইসলামাবাদই করতে পারে ।
G-20 সম্মেলনে ট্রাম্প, শিনজ়ো আবে ও নরেন্দ্র মোদি এদিকে, ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে উদগ্রীব । যদিও বিদেশমন্ত্রক বারবারই জানিয়েছে, প্রথমে দেশের মাটি থেকে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করতে হবে । তারপর ভারত বন্ধুত্বের বিষয়ে ভেবে দেখবে ।
দু'দেশের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকে 2016-র পর থেকে । সেপ্টেম্বরে উরি সেনাছাউনিতে হামলা চালায় পাকিস্তান মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ । শহিদ হন 19 জওয়ান । পালটা পাকিস্তানের মাটিতে সার্জিকাল স্ট্রাইক করে ভারত । এরপর চলতি বছর 14 ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় সেনা কনভয়ের একটি ভ্যানে আত্মঘাতী জঙ্গি হামলা চালায় জইশ । শহিদ হন 40 জওয়ান । 12 দিনের মাথায় (26 ফেব্রুয়ারি) এয়ার স্ট্রাইক করে ভারত । গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় জঙ্গিঘাঁটি ।