পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / bharat

JNU ক্যাম্পাসে বিবেকানন্দের মূর্তির নিচে লেখা হল আপত্তিজনক শব্দ - JNU ক্যাম্পাসে বিবেকানন্দের মূর্তি

জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবেকানন্দের মূর্তির পাদদেশে লেখা হল আপত্তিজনক শব্দ । অভিযোগ, ছাত্রদের একাংশই এই কাজ করেছে ।

ছবি

By

Published : Nov 14, 2019, 7:36 PM IST

দিল্লি, 14 নভেম্বর : বিবেকানন্দের মূর্তির পাদদেশে লেখা হল আপত্তিজনক শব্দ । জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা । অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের একাংশই এই কাজ করেছে । ইতিমধ্যেই সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিয়ো । তবে, এখনও পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ।

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রশাসনিক ব্লকে জওহরলাল নেহরুর মূর্তির ঠিক সামনেই রয়েছে স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তি । এই মূর্তির পাদদেশেই লেখা হয়েছে একাধিক আপত্তিজনক শব্দ । যদিও JNU ছাত্র সংসদ জানিয়েছে, এই ঘটনায় তাদের কেউ জড়িত নয় । আপাতত গেরুয়া কাপড়ে ঢাকা রয়েছে মূর্তিটি । উদ্বোধনও হয়নি ।

28 অক্টোবর । ঘটনার সূত্রপাত JNU-র হস্টেল ফিজ় বৃদ্ধি, পোশাকবিধি ও নতুন তৈরি নিয়মকানুন নিয়ে । এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের সিদ্ধান্ত জানাতেই উত্তাল হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর । ছাত্রছাত্রীদের একাংশ বিক্ষোভ শুরু করে । লাগাতার দু'সপ্তাহ ধরে চলছে এই বিক্ষোভ । গতকালই ছাত্র-ছাত্রীরা প্রশাসনিক ব্লক ঘেরাও করে । প্রশাসনের ভূমিকাকে ধিক্কার জানিয়ে স্লোগান দেয় । উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করে । কিন্তু সেইসময় উপাচার্য অনুপস্থিত ছিলেন । ক্ষোভে ছাত্রছাত্রীরা প্রশাসনিক ব্লকের দেওয়ালে নানা আপত্তিজনক শব্দ লেখে । এমন কী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এম জগদীশ কুমারের নেমপ্লেটে কালি লাগিয়ে দেয় ও উপড়ে ফেলে দেয় ।

গতকাল সন্ধ্যায় এগজ়িকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকে বলা হয় ফিজ় বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত আংশিকভাবে প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে । কিন্তু তাতে খুব একটা লাভ হয়নি । বিক্ষোভ জারি থাকে । ছাত্রছাত্রীদের দাবি, যতক্ষণ পর্যন্ত উপাচার্য নিজে এসে ছাত্রদের সঙ্গে দেখা না করছেন , এই বিষয়ে কথা না বলছেন ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে ।

এনিয়ে গতকাল মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক টুইটও করে । সেখানে ফিজ় বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের কথাও বলা হয় । কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের দাবি তাঁদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে । এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের বিষয়টি মিথ্যা সান্ত্বনা ছাড়া আর কিছু নয় ।

তারপর আজকের এই ঘটনা । তবে কারা এই ঘটনার জন্য দায়ি তা এখনও স্পষ্ট হয়নি । বিশ্ববিদ্যালেয় কর্তৃপক্ষের তরফেও এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি ।

ABOUT THE AUTHOR

...view details