পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / bharat

ক্বাথ লিভারের ক্ষতি করে তার কোনও প্রমাণ নেই : আয়ুষ মন্ত্রক

আয়ুষ মন্ত্রকের নির্দেশিকায় তুলসি, দারুচিনি , গোলমরিচ , শুকনো আদা এবং কিসমিস দিয়ে তৈরি হার্বাল চা বা ক্বাথ দিনে একবার বা দু'বার পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল । তবে তা যে লিভারের ক্ষতি করে , তার কোনও প্রমাণ নেই । কোটেচা বলেন , "এটি একটি ভুল ধারণা । কারণ ক্বাথে যে উপাদানগুলি ব্যবহার করা হয় , সেগুলি ঘরে রান্নায় মশলা ব্যবহার করা হয় ।"

AYUSH ministry
ছবিটি প্রতীকী

By

Published : Oct 7, 2020, 12:05 PM IST

দিল্লি , 7 অক্টোবর : কোরোনা প্যানডেমিক পরিস্থিতিতে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ার ক্ষেত্রে ক্বাথের দীর্ঘ ব্যবহার লিভারের ক্ষতি করে । এমনই অভিযোগ উঠছিল । এবার এই দাবি উড়িয়ে আয়ুষ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে , ক্বাথ বা পাঁচনের দীর্ঘ ব্যবহার লিভারের ক্ষতি করে , এটা একটা ভুল ধারণা । কারণ ক্বাথ তৈরিতে যে সব উপকরণ ব্যবহার করা হয় , সেগুলি আমরা রান্নার কাজে ব্যবহার করি । এই বিষয়ে একটি প্রেস বিবৃতিতে আয়ুষ মন্ত্রকের সেক্রেটারি বৈদ্য রাজেশ কোটেচা বলেন , " ক্বাথ তৈরিতে সাধারণত দারুচিনি , তুলসি , গোলমরিচের মতো উপকরণ ব্যবহার করা হয় । আর এই উপাদানগুলি শ্বাসযন্ত্রের সিস্টেমে ভালো প্রভাব ফেলে ।"

মার্চ মাসে কোরোনভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সময় রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বিশেষ করে শ্বাসযন্ত্রের সিস্টেমের ক্ষেত্রে যত্ন নেওয়ার জন্য বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করেছিল আয়ুষ মন্ত্রক । নির্দেশিকায় , অন্যান্য জিনিসের পাশাপাশি, তুলসি, দারুচিনি , গোলমরিচ , শুকনো আদা এবং কিসমিস দিয়ে তৈরি হার্বাল চা বা ক্বাথ দিনে একবার বা দু'বার পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল । বারবার ক্বাথ পানে লিভারের ক্ষতি হয় বলে অভিযোগ ওঠে । অভিযোগ খারিজ করে আয়ুষ মন্ত্রকের সেক্রেটারি বলেন , "এটি একটি ভুল ধারণা । কারণ ক্বাথে যে উপাদানগুলি ব্যবহার করা হয় , সেগুলি ঘরে রান্নায় মশলা ব্যবহার করা হয় । ঘরে বসে রান্না করার ক্ষেত্রে মশলা হিসাবে ব্যবহৃত হয় ।" তিনি আরও বলেন , কোরোনা মোকাবিলায় এই উপাদানগুলি কতটা কার্যকর হতে পারে , তা নির্ধারণের জন্য পরীক্ষা চলছে ।

কোটেচা জানান , আয়ুর্বেদ সাহিত্য এবং ক্লিনিকাল অভিজ্ঞতা, জৈবিক গ্রহণযোগ্যতা এবং চলমান ক্লিনিকাল পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রবণতা বিবেচনা করে প্রোটোকলটি আনা হয়েছিল । কোরোনা পরিচালনার জন্য আয়ুর্বেদ এবং যোগের উপর ভিত্তি করে নির্মিত ‘জাতীয় ক্লিনিকাল ম্যানেজমেন্ট প্রোটোকল’ খাবারের ব্যবস্থা, যোগব্যায়াম এবং আয়ুর্বেদিক ওষুধ এবং অশ্বগন্ধা এবং আয়ুষ-44 এর মতো সূত্রগুলি কোরোনভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য এবং হালকা এবং উপসর্গহীন চিকিৎসার জন্য তালিকায় রাখা হয়েছে ।

নির্দেশিকায় উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের জন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অশ্বগন্ধা, গুডুচি ঘানা ভাটি বা চবনপ্রাসের মতো ওষুধের ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে । রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ও সুস্থতার হার বাড়ানোর জন্য উপসর্গহীন কোরোনা রোগীদের জন্য গুডুচি ঘানা ভাটি, গুডুচি এবং পিপ্পালি বা আয়ুষ 64 ব্যবহারের পরামর্শ দেয় । মৃদু উপসর্গ রোগীদের জন্য গুডুচি ও পিপ্পালি এবং আয়ুষ 64 ট্যাবলেট দেওয়া যেতে পারে । নির্দেশিকাতে বলা হয়েছে , এই ওষুধগুলি ছাড়াও সাধারণ এবং পথ্য খেতে হবে ।

মন্ত্রকের তরফে এক চিমটে হলুদ ও নুন দেওয়া গরম জলে গার্গল করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে । বাইরে যাওয়ার আগে এবং ফিরে আসার আগে বাড়িতে, ক্যারম বীজ, পুদিনা বা ইউক্যালিপটাস তেল দিয়ে দিনে একবার ভাপ নেওয়া , পরিমিত শারীরিক অনুশীলনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে । ডায়েটরি ব্যবস্থায় গরম জলে আদা, ধনে , তুলসি বা জিরা ইত্যাদি দিয়ে তৈরি জল আর দিনে একবার আয়ুষ ক্বাথ খাওয়া যেতে পারে ।

ABOUT THE AUTHOR

...view details