পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / bharat

মাহিন্দা রাজাপক্ষকে অভিনন্দন মোদির, কলম্বোর সঙ্গে বোঝাপড়া মজবুত করতে চাইছে দিল্লি

ভারত অতীতে রাজাপক্ষের পাশে থেকেছে । তারপর মাহিন্দার চিন-ঘনিষ্ঠতা এবং তামিল সংখ্যালঘুদের আরও রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব দিতে মাহিন্দার অনিচ্ছার জেরে দূরে সরে গিয়েছে। ভারতের দিক থেকে সম্পর্ক নতুন করে গড়ে তোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে গত নভেম্বরে গোতাবায়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর। সংসদীয় নির্বাচনে মাহিন্দার বিপুল জয়ের পর বিশ্বের নেতাদের মধ্যে প্রথম মাহিন্দাকে অভিনন্দন জানিয়ে বোঝাপড়ার মঞ্চ তৈরি করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। শ্রীলঙ্কা-ভারতের সম্পর্কের নতুন দিক নিয়ে লিখেছেন বর্ষীয়ান সাংবাদিক স্মিতা শর্মা৷

mahinda
মাহিন্দা

By

Published : Aug 8, 2020, 12:00 AM IST

Updated : Aug 8, 2020, 12:21 AM IST

এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসে, শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণের পর প্রথমবার ভারত সফরে আসা মাহিন্দা রাজাপক্ষেকে জিজ্ঞাসা করা হয়, ১৯ তম সংশোধনী নিয়ে তাঁর ছোটো ভাই, প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের সঙ্গে তাঁর কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না । একটি ইংরেজি দৈনিককে দেওয়া জবাবে, যিনি ২০০৯ সালে লৌহমুষ্টিতে LTTE-কে গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন, সেই প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এবং শক্তিশালী নেতা মাহিন্দা উত্তর দেন, “না, না, না। যেভাবে বর্তমান সংবিধান গঠিত হয়েছে, এবং ১৯তম সংশোধনী নিয়ে যে বিভ্রান্তি, তা একমাত্র গোতা ও আমার মতো দুই ভাই-ই সামলাতে পারি (হাসি) । না হলে কোনও প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী কখনও এই ইশুতে সম্মত হবেন না ।”

কোরোনা সংক্রমণের মধ্যেই ৫ অগাস্ট সংসদীয় নির্বাচনে ১৪৫টি আসন পেয়ে মাহিন্দা রাজাপক্ষের বিপুল জয়লাভের পর গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে ১৯তম সংশোধনী । আগে স্থগিত হয়ে যাওয়া এই ভোটে ৭১ শতাংশ ভোট পড়েছে, যা ২০১৫ সালে ৭৭ শতাংশের তুলনায় কম। দক্ষিণ-পশ্চিমের রাজধানী জেলা কুরুনেগালা থেকে, শাসকদল শ্রীলঙ্কা পদুজন পেরামুনা (SLPP)-র হয়ে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মাহিন্দা রাজাপক্ষে। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপাল সিরিসেনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন পোলোন্নারুয়া অঞ্চল থেকে । আর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংঘে এবং সাজিথ প্রেমদাসা ভোটে লড়েন কলম্বো জেলা থেকে। তাঁর সামাগি জন বালাওয়েগায়া (SJB)-র জন্য ৫৪টি আসন নিয়ে প্রধান বিরোধী হিসেবে উঠে এসেছেন সাজিথ।

ভোটের ফলে ধাক্কা খেয়েছেন প্রেসিডেন্ট । ২২৫ সদস্যের সংসদে সংবিধান সংশোধনের জন্য যাঁর নিজের দলের জন্য দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন। ভোটের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দেশের ১৯তম সংবিধান সংশোধনী প্রত্যাহার বা বদলের জন্য গোতাবায়া রাজাপক্ষের প্রয়োজন ১৫০টি আসনের। এই সংশোধনী কার্যকর হয়েছিল ২০১৫ সালে, যখন দশ বছরের শাসনকালের পর মাহিন্দা ভোটে হারেন এবং সিরিসেনা প্রেসিডেন্ট হন। এই সংশোধনীতে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে এবং সমানভাবে প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে, যাতে আস্তে আস্তে সংসদীয় শাসনপদ্ধতির দিকে এগোনো যায়। এব্যাপারে জনসমক্ষে মাহিন্দার অবস্থান দেখতে পাওয়া সত্ত্বেও, সন্দেহ থেকেই যায় যে তিনি ইস্তাহারের প্রতিশ্রুতি পালনের দিকে এগোবেন কি না, যা তাঁর ডানা ছাঁটতে পারে, এবং ক্ষমতাকে প্রেসিডেন্টের হাতে ফিরিয়ে দেবেন কি না।

ইস্টার সানডে সন্ত্রাসহানায় ২৯০ জন মানুষের মৃত্যুর পর সিরিসেনা এবং বিক্রমসিঙ্ঘের তিক্ত অন্তর্দ্বন্দ্ব আরও খারাপ চেহারা নেয়, যা ২০১৯ সালে গোতাবায়া রাজাপক্ষের বিপুল জয়ের পথ তৈরি করে দেয়। দ্বীপরাষ্ট্রের মাত্র ৩ শতাংশ ভোট পেয়ে UNP (ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি) মুখ থুবড়ে পড়ার পর, উদ্বেগ বাড়ছে এটা ভেবে যে শক্তিশালী বিরোধীপক্ষের অনুপস্থিতিতে রাজাপক্ষের অতীতের স্বৈরাচারী চেহারাটা ফিরে আসবে কি না।

ভারত অতীতে রাজাপক্ষের পাশে থেকেছে । তারপর মাহিন্দার চিন-ঘনিষ্ঠতা এবং তামিল সংখ্যালঘুদের আরও রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব দিতে মাহিন্দার অনিচ্ছার জেরে দূরে সরে গিয়েছে। ভারতের দিক থেকে সম্পর্ক নতুন করে গড়ে তোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে গত নভেম্বরে গোটবায়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর। এবার সংসদীয় নির্বাচনে মাহিন্দার বিপুল জয়ের পর, চিনা প্রভাবকে দূরে সরিয়ে রাখতে ভারতকে আরও কঠিন পরিশ্রম করতে হবে, কারণ তাকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় দীর্ঘ সংঘাত এবং নেপালে ভারত-বিরোধী মনোভাবেরও মোকাবিলা করতে হচ্ছে। আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটের ফলাফল প্রকাশের আগেই, বিশ্বের নেতাদের মধ্যে প্রথম মাহিন্দাকে অভিনন্দন জানিয়ে বোঝাপড়ার মঞ্চ তৈরি করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

রাজাপক্ষে টুইট করেন, “অভিনন্দন জানিয়ে ফোন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ। শ্রীলঙ্কার জনগণের জোরালো সমর্থনের সঙ্গে, আমি আপনার সঙ্গে কাজ করতে এবং আমাদের দুই দেশের দীর্ঘ সহযোগিতাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। শ্রীলঙ্কা ও ভারত একের অপরের বন্ধু ও আত্মীয়।”

নির্বাচনগুলোতে উত্তর ও পূর্বের বিভক্ত তামিল ন্যাশনাল অ্যালায়েন্সের খারাপ ফলাফলের জেরে, রাজনৈতিক বোঝাপড়া এবং ১৩তম সংশোধনের অধীনস্থ অঞ্চলগুলোতে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের ব্যাপারে কোনও আশা দেখা যাচ্ছে না। অনেকটা ভোট কমলেও টিএনএ এখনও উত্তর-পূর্ব জুড়ে প্রধান রাজনৈতিক দল। ২০১৯ সালে রাজাপক্ষে ক্ষমতার অলিন্দে ফেরার পর, তামিল ভোটাররা শঙ্কিত এই ভেবে যে ১৩তম সংশোধনী পুরোপুরি প্রয়োগ হওয়া নিয়ে তাঁদের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে কি না। প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া এর মধ্যেই বলে দিয়েছেন যে ১৩এ-র কিছু অংশের প্রয়োগ সম্ভব নয়, এবং তার বিকল্পও খুঁজতে বলেছেন।

ভোটের প্রচারেই মাহিন্দা স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে তিনি সিংহলী রক্ষণশীলতার উপর দাঁড়িয়েই ভোটে লড়ছেন। এই ভোটের ফলে কলম্বোর সামনে ভারত ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ নিয়ে দরকষাকষির ক্ষেত্রে সুবিধে পাবে না। এতে শ্রীলঙ্কার তামিলদের সংকট, যা তামিলনাড়ুর অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে প্রভাব ফেলে, তারও কোনও সমাধান বেরোবে না।

ভারতের কাছে গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো প্রকল্প, বিশেষ করে কলম্বো বন্দরে ইস্টার্ন কন্টেনার টার্মিনাল (EST)-এর ভবিষ্যত অনিশ্চিত। অনেক আলোচনার পর, ২০১৯-এর মে মাসে শ্রীলঙ্কা ৭০০ মিলিয়ন ডলার খরচে, জাপান ও ভারতের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে টার্মিনাল তৈরির সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে শ্রীলঙ্কা। এই চুক্তি বিক্রমসিঙ্ঘে এবং সিরিসেনার সংঘাতের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। জাতীয়তাবাদের তাস খেলে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট চাননি যে ‘জাতীয় সম্পদ’-এর ব্যবস্থাপনায় কোনও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপ’ হোক। দুই গোষ্ঠীর তিক্ত সংঘাত জোট সরকারকে পরস্পরের বিপরীত দিকে টানতে থাকে। জুলাইয়ের শুরু দিকে তামিল সম্পাদকদের উদ্দেশে বক্তব্যে মাহিন্দা রাজাপক্ষে জানান, একবছর পরেও প্রকল্পের ভাগ্য অনিশ্চিত হয়ে রয়েছে।

তিনি নাকি বলেছিলেন, “এই চুক্তি প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপাল সিরিসেনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে হয়েছিল। কিন্তু আমরা এব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নিইনি।” ঘটনাচক্রে চিনকে ৯৯ বছরের জন্য হাম্বানটোটা বন্দর লিজ় দেওয়াটা শ্রীলঙ্কার জাতীয়তাবাদী ভাবনার আওতার বাইরে। চিনারা কলম্বো নগর প্রকল্পের সঙ্গেও যুক্ত থাকছে। বাবার কেন্দ্র হাম্বানটোটা থেকে জিতে আসা মাহিন্দা-পুত্র নামালের পরিকল্পনা রয়েছে, তাঁর কেন্দ্রে সংযুক্ত স্ট্র্যাটেজিক টাউনশিপ থেকে প্রাকৃতিক রিসর্ট এবং বড় পরিকাঠামো নির্মাণ করার। চিনের তৈরি হাম্বানটোটা বন্দরের নির্মাণ ও অপারেশনের গুরুত্ব সম্পর্কে বলতে গিয়ে একটি সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে নামাল বলেন, “কৌশলগত বন্দর, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, হাইওয়ে সমেত হাম্বানটোটা দ্বীপের পরবর্তী বাণিজ্যকেন্দ্র হতে চলেছে। আর যেখানে আমাদের সমস্ত উপকরণ তৈরি, আমরা এটা সম্ভব করে তুলব।”

যেখানে মোদি সরকার উত্তর ও পূর্বে চিনা আগ্রাসন, পশ্চিমে জঙ্গি অনুপ্রবেশ ও রক্তপাত, আর নেপালের তরফে মানচিত্র আগ্রাসন ও বিরোধী মনোভাবের মুখোমুখি হচ্ছে, সেখানে ‘প্রতিবেশী প্রথমে’—এই শব্দবন্ধকে একটা স্লোগানের থেকে বেশি কিছু হতে হবে। সম্প্রসারণবাদী চিনকে রুখতে আমেরিকা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া আরও পেশীপ্রদর্শন করতে পারে এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সমঝোতা মজবুত করতে পারে। কিন্তু ভারতের নৌ-নিরাপত্তা এবং সমুদ্র-অর্থনীতির ক্ষেত্রে ছোট দ্বীপরাষ্ট্র এবং উপকূলবর্তী দেশগুলির কৌশলগত গুরুত্ব রয়েছে। ভারত চাইলেই শ্রীলঙ্কা থেকে চিনা প্রভাব সরবে না, কারণ তারা বিপুল ঋণ ও পুনর্বিনিয়োগের সঙ্কটের মুখোমুখি এবং কোভিড পরবর্তী বিশ্বে পর্যটন ধাক্কা খাওয়ার ফলে তাদের অর্থনীতিও বেহাল। হিসেব অনুযায়ী, আগামী পাঁচ বছরে কলম্বোর ঋণের পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ৯৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ পরিশোধ তিন বছরের জন্য স্থগিত রাখার যে আর্জি মাহিন্দা এবছর ফেব্রুয়ারিতে ভারত সফরে এসে করে গেছেন, সেব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত জানায়নি ভারত। যদিও ভারতীয় রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক নভেম্বর ২০২২ পর্যন্ত, শ্রীলঙ্কার জন্য ৪০০ মিলিয়ন ডলার মুদ্রাবিনিময়ে সম্মত হয়েছে।

অতীতে নয়াদিল্লি মাহিন্দার জন্য দ্রুত ও প্রথম বিদেশ সফর, অথবা কোভিড পরিস্থিতিতে দু-দেশের প্রধানমন্ত্রীদের মধ্যে ভার্চুয়াল বৈঠকের পথ প্রশস্ত করেছে। কিন্তু সম্পর্ককে এখন প্রতীকীবাদ পেরিয়ে তাকাতে হবে। ভারতের রক্ষণশীলদের যুক্তি, বিশেষ করে রাজাপক্ষেরা ক্ষমতায় থাকার সময় ভারত দিয়েছে বেশি, কিন্তু কলম্বোর থেকে পেয়েছে কম। যেখানে অতীত থেকে শিক্ষা নিতে হয়, এবং সাবধান থাকতে হয়, পাশাপাশি দেখতে হবে অতীতের ছায়া যাবে বর্তমানের গতিপথ এবং ভবিষ্যতের সমঝোতাকে প্রভাবিত করতে না পারে। রাজাপক্ষেরাও চিনা ঋণে তাঁদের হাত পুড়িয়েছেন এবং বেহাল অর্থনীতি এবং বেকারত্বের জন্য জনগণের ক্ষোভের মুখে পড়েছেন। এটাও সত্যি যে ভারতীয় গোয়েন্দাসংস্থাগুলো ২০১৯-এর এপ্রিলে ইস্টার সানডে হামলার ব্যাপারে সিরিসেনা-বিক্রমসিংঘে সরকারকে সতর্ক করেছিল, কিন্তু শ্রীলঙ্কা সরকার তা আটকাতে পারেনি। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যাঁরা গোতাবায়াকে ভোট দিয়েছেন, তাঁরাও এটাকে গুরুত্ব দিয়েছেন। নেপাল ও বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যে ভারতকে রাজাপক্ষেদের সঙ্গে সমঝোতা ধৃঢ় করতে, প্রতিরক্ষা থেকে লজিস্টিক্সে বিনিয়োগ করতে হবে। আর কলম্বোকেও বেজিংয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়ে ফের নয়াদিল্লির সঙ্গে সম্পর্ক নড়বড়ে করার আগে, সাম্প্রতিক অতীত থেকে শিক্ষা নিতে হবে। বৃহত্তর কৌশলগত স্বার্থ দিয়ে যেন ব্যক্তিবিশেষের সন্দেহকে ঢেকে দেওয়া যায়। গোতাবায়ার জয়ের পর প্রাক্তন বিদেশসচিব শ্যাম সারন ইটিভি ভারতকে বলেছিলেন, “কে বন্ধু, আর কে বন্ধু নয় – প্রতিবেশী দেশের নেতাদের গায়ে এই তকমা লাগানোর চেষ্টা আমাদের কোনওদিন লাভ দেয়নি। পারস্পরিক স্বার্থ, একজায়গায় আসা এবং নীতি, যা অন্য সবকিছুর থেকে বেশি ফলপ্রদ, তার ভিত্তিতেই এইসব সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ভালো।”

Last Updated : Aug 8, 2020, 12:21 AM IST

ABOUT THE AUTHOR

...view details