দিল্লি, 5 জুলাই : সম্পূর্ণ দেশীয় উপায়ে তৈরি কোভ্যাকসিন ও জ়াইকোভ-ডি ইতিমধ্যেই মানবদেহে পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগের ছাড়পত্র পেয়ে গেছে । দ্রুত ইতিবাচক ফল পাওয়া যাবে বলেও আশাবাদী কেন্দ্রীয় সরকার । এই কোভ্যাকসিন ও জ়াইকোভ-ডি-র মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগে আসলে কোরোনার শেষের শুরু । আজ কেন্দ্রের তরফে এই বার্তা দেওয়া হল ।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে আজ এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "গোটা বিশ্বে এই মুহূর্তে 100টিরও বেশি কোরোনা প্রতিষেধকের কাজ চলছে । এর মধ্যে 11টির মানবদেহে পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ চলছে ।"
ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, "ভারতের ছ'টি সংস্থা কোরোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরির কাজ করছে । এর মধ্যে কোভ্যাকসিন ও জ়াইকোভ-ডি-র পরীক্ষামূলক প্রয়োগ ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে ।"
প্রতিষেধক দু'টির প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষায় ওষুধের সুরক্ষা বিষয়ক দিকগুলি পরীক্ষা করে দেখা হয় । তৃতীয় ধাপে ওষুধগুলি রোগ নিরাময়ে কতটা কার্যকর, তা পরীক্ষা করা হয় । প্রতিটি ধাপে পরীক্ষা সম্পন্ন হতে কয়েক মাস কখনও বা বছরের পর বছর সময় লেগে যায় । কোভ্যাকসিন ও জ়াইকোভ-ডি, দু'টি প্রতিষেধকই প্রথম ধাপে সাফল্যের পর দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে পরীক্ষার জন্য অনুমোদন পেয়েছে ।
15 অগাস্টের মধ্যে কোরোনার প্রতিষেধক বাজারে নিয়ে আসার যে লক্ষ্যমাত্রা ICMR নিয়েছে তার ঠিক পরপরই কেন্দ্রের তরফে এই বিবৃতি দেওয়া হল । যদিও দেশের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, বিহারে আসন্ন ভোটে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতেই 15 অগাস্টের লক্ষ্যমাত্রা তৈরি করেছে কেন্দ্র ।
দীর্ঘ ট্রায়াল প্রক্রিয়ার বিষয়টি নজরে রেখে বিশেষজ্ঞদের মতে, 15 অগাস্টের মধ্যে ভ্যাকসিনটি বাজারে আনা বাস্তবে সম্ভব নয় ৷ বছর শেষে হয়তো ভ্যাকসিনটি সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য বাজারে উপলব্ধ হবে ৷