দিল্লি, 12 ডিসেম্বর : ভারত সফর বাতিল করলেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন ৷ 12 ডিসেম্বর থেকে 14 ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রীর ভারত সফরে আসার কথা ছিল ৷ তাৎপর্যপূর্ণভাবে গতরাতে রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল, 2019 পাশ হওয়ার পরেই আজ ঢাকার তরফে সফর বাতিলের কথা জানানো হয় ৷
এই সফরে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের সঙ্গে একাধিক দ্বিপাক্ষিক ইশু নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রীর ৷ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল, 2019 প্রসঙ্গে আজ মুখ খুলেছেন আবদুল মোমেন ৷ তিনি বলেন, "এই বিল ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবাদর্শের পরিপন্থী ৷" পাশাপাশি বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ অবিচারের শিকার হচ্ছে বলে যে অভিযোগ উঠছে, তার কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই বলে দাবি করেছেন তিনি ।
আরও পড়ুন : অসম ও ত্রিপুরায় আধা-সেনা, গুয়াহাটি ও ডিব্রুগড়ে কার্ফু ; বন্ধ ইন্টারনেট
যদিও সফর বাতিলের কারণ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, দেশে বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠান রয়েছে । বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ও বিদেশ সচিব দেশের বাইরে ৷ তাই ওই দুই অনুষ্ঠানে তাঁকে উপস্থিত থাকতে হবে ৷ ফলে ভারত সফর বাতিল করতে হয়েছে । তিনি বলেন, "জানুয়ারিতে আমি ভারতের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করার পরিকল্পনা করছি ৷ ডিসেম্বরের বৈঠকে আমাদের DG -কে পাঠানো হচ্ছে ৷ "
আবদুল মোমেনের দিল্লি সফর বাতিলের পর আজ ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার ৷ তিনি বলেন, "CAB নিয়ে কিছু ভুল ধারণা তৈরি হয়েছে ৷ আমরা ভারতের তরফে বিষয়টি স্পষ্ট করে দিতে চাই ৷ বাংলাদেশের বর্তমান সরকার সে দেশে সংখ্যালঘুদের স্বার্থ রক্ষায় যথেষ্ট সচেতন । তবে সেই দেশে যখন সামরিক শাসন চলছিল, তখন সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন হয়েছে ৷ সেই কারণে বাংলাদেশ থেকে বহু সংখ্যালঘু শরণার্থী ভারতে এসে আশ্রয় নিয়েছেন ৷ তবে বর্তমান সরকার তাদের দেশের সংখ্যালঘুদের কথা ভেবে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে ৷ " বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রীর ভারত সফর বাতিল প্রসঙ্গে রবীশ কুমার বলেন, " তিনি (আবদুল মোমেন) ভারত সফর বাতিল করার জন্য নির্দিষ্ট কারণ জানিয়েছেন ৷ আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক যথেষ্টই মজবুত ৷ এর আগে দুই দেশের প্রধানই বর্তমান সময়কে সাম্প্রতিক ইতিহাসে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তিতে সেরা সময় বলে স্বীকার করেছেন ৷"