লখনউ, 16 এপ্রিল:উত্তরপ্রদেশের গ্যাংস্টার থেকে রাজনীতিবিদে পরিণত হওয়া আতিক আহমেদ এবং তাঁর ভাই খালিদ আজিম ওরফে আশরাফকে শনিবার রাতে হত্যা করার পর থেকে রাজ্যের পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ ৷ পুলিশ রাজ্যজুড়ে টহল দিচ্ছে এবং নিরাপত্তা জোরদার করেছে । ক্যামেরায় এবং পুলিশের উপস্থিতিতে ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডের পর এই নিয়ে প্রতিক্রিয়ার বন্যা বওয়াচ্ছেন রাজনৈতিক নেতারা ৷ এই ঘটনা সাম্প্রতিক ভারতীয় ইতিহাসে সবচেয়ে মর্মান্তিক অন-ক্যামেরা শ্যুটআউটগুলির মধ্যে অন্যতম ৷ এই ঘটনার পর থেকে যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ করা হয়েছে ৷ এই সংক্রান্ত আপডেটগুলি দেখে নেব একনজরে ৷
এখনও পর্যন্ত পাওয়া শীর্ষ আপডেটগুলি:
1. কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে উত্তরপ্রদেশের সমস্ত জেলায় ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) ধারা 144-এর অধীনে নিষেধাজ্ঞামূলক আদেশ জারি করা হয়েছে । নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে প্রয়াগরাজ জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রয়েছে । শনিবার রাতে একটি মিডিয়া কথোপকথনের মাঝখানে নিজেদের সাংবাদিক হিসেবে দাবি করে তিন ব্যক্তি দুই ভাইকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে হত্যা করে ৷ সেই সময় পুলিশকর্মীরা তাঁদের চেকআপের জন্য মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাচ্ছিল, তখনই হয় এই হত্যাকাণ্ড ৷
2. তিন হামলাকারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে - লভলেশ তিওয়ারি (বান্দার বাসিন্দা), মোহিত ওরফে সানি (হামিরপুর) এবং অরুণ মৌর্য (কাসগঞ্জ) ৷ ভারতীয় দণ্ডবিধির 302 ও (খুনের শাস্তি) 307 (খুনের চেষ্টা) ধারা, অস্ত্র আইন এবং ফৌজদারি সংশোধনী আইনে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে । জনপ্রিয় হওয়ার কারণেই তারা আতিক ও তাঁর ভাইকে হত্যা করতে চেয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিন আততায়ী । তাই মৃতরা পুলিশ হেফাজতে আছে জানতে পেরে তাদের হত্যার পরিকল্পনা করেছিল অভিযুক্তরা ।
3. উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন । বিশেষ ডিজি, আইন ও শৃঙ্খলা, প্রশান্ত কুমার বলেন, আহমেদ ও আশরাফ হত্যার তদন্তের জন্য মুখ্যমন্ত্রী একটি তিন সদস্যের বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন করেছেন ৷"
4. পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনাকে উত্তরপ্রদেশে আইনশৃঙ্খলার পতন বলে অভিহিত করেছেন । তিনি টুইটে লেখেন, "উত্তরপ্রদেশে নির্লজ্জ নৈরাজ্য এবং আইনশৃঙ্খলার সম্পূর্ণ পতন দেখে আমি হতবাক । এটা লজ্জাজনক যে পুলিশ এবং মিডিয়ার উপস্থিতিতে অপরাধীরা এখন আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে ৷"
5. এআইএমআইএম-এর সভাপতি আসাদউদ্দিন ওয়াইসি এই হত্যাকাণ্ডের জন্য মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের পদত্যাগের দাবি করেছেন এবং সেই সঙ্গে এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে তদন্তের আবেদন জানিয়েছেন । তাঁর দাবি, বিজেপি উত্তরপ্রদেশে "বন্দুকের শাসন" দিয়ে সরকার চালাচ্ছে, আইনের শাসনে নয় ৷