পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / bharat

Atiq Killing Latest Updates: উত্তরপ্রদেশে জারি 144 ধারা, প্রয়াগরাজে বন্ধ ইন্টারনেট; আতিক হত্যার সব আপডেট একনজরে - internet shut in Prayagraj

আতিক আহমেদ এবং তাঁর ভাই আশরাফকে শনিবার রাতে পুলিশ ও মিডিয়ার সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় ৷ এই ঘটনা তোলপাড় ফেলে দিয়েছে দেশজুড়ে ৷ এই সংক্রান্ত সাম্প্রতিক আপডেটগুলি দেখে নিন একনজরে ৷

Atiq Killing Latest Updates
আতিক আহমেদ হত্যার আপডেট

By

Published : Apr 16, 2023, 4:29 PM IST

লখনউ, 16 এপ্রিল:উত্তরপ্রদেশের গ্যাংস্টার থেকে রাজনীতিবিদে পরিণত হওয়া আতিক আহমেদ এবং তাঁর ভাই খালিদ আজিম ওরফে আশরাফকে শনিবার রাতে হত্যা করার পর থেকে রাজ্যের পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ ৷ পুলিশ রাজ্যজুড়ে টহল দিচ্ছে এবং নিরাপত্তা জোরদার করেছে । ক্যামেরায় এবং পুলিশের উপস্থিতিতে ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডের পর এই নিয়ে প্রতিক্রিয়ার বন্যা বওয়াচ্ছেন রাজনৈতিক নেতারা ৷ এই ঘটনা সাম্প্রতিক ভারতীয় ইতিহাসে সবচেয়ে মর্মান্তিক অন-ক্যামেরা শ্যুটআউটগুলির মধ্যে অন্যতম ৷ এই ঘটনার পর থেকে যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ করা হয়েছে ৷ এই সংক্রান্ত আপডেটগুলি দেখে নেব একনজরে ৷

এখনও পর্যন্ত পাওয়া শীর্ষ আপডেটগুলি:

1. কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে উত্তরপ্রদেশের সমস্ত জেলায় ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) ধারা 144-এর অধীনে নিষেধাজ্ঞামূলক আদেশ জারি করা হয়েছে । নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে প্রয়াগরাজ জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রয়েছে । শনিবার রাতে একটি মিডিয়া কথোপকথনের মাঝখানে নিজেদের সাংবাদিক হিসেবে দাবি করে তিন ব্যক্তি দুই ভাইকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে হত্যা করে ৷ সেই সময় পুলিশকর্মীরা তাঁদের চেকআপের জন্য মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাচ্ছিল, তখনই হয় এই হত্যাকাণ্ড ৷

2. তিন হামলাকারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে - লভলেশ তিওয়ারি (বান্দার বাসিন্দা), মোহিত ওরফে সানি (হামিরপুর) এবং অরুণ মৌর্য (কাসগঞ্জ) ৷ ভারতীয় দণ্ডবিধির 302 ও (খুনের শাস্তি) 307 (খুনের চেষ্টা) ধারা, অস্ত্র আইন এবং ফৌজদারি সংশোধনী আইনে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে । জনপ্রিয় হওয়ার কারণেই তারা আতিক ও তাঁর ভাইকে হত্যা করতে চেয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিন আততায়ী । তাই মৃতরা পুলিশ হেফাজতে আছে জানতে পেরে তাদের হত্যার পরিকল্পনা করেছিল অভিযুক্তরা ।

পয়েন্ট ব্ল্যাংক রেঞ্জ থেকে গুলি

3. উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন । বিশেষ ডিজি, আইন ও শৃঙ্খলা, প্রশান্ত কুমার বলেন, আহমেদ ও আশরাফ হত্যার তদন্তের জন্য মুখ্যমন্ত্রী একটি তিন সদস্যের বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন করেছেন ৷"

4. পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনাকে উত্তরপ্রদেশে আইনশৃঙ্খলার পতন বলে অভিহিত করেছেন । তিনি টুইটে লেখেন, "উত্তরপ্রদেশে নির্লজ্জ নৈরাজ্য এবং আইনশৃঙ্খলার সম্পূর্ণ পতন দেখে আমি হতবাক । এটা লজ্জাজনক যে পুলিশ এবং মিডিয়ার উপস্থিতিতে অপরাধীরা এখন আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে ৷"

5. এআইএমআইএম-এর সভাপতি আসাদউদ্দিন ওয়াইসি এই হত্যাকাণ্ডের জন্য মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের পদত্যাগের দাবি করেছেন এবং সেই সঙ্গে এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে তদন্তের আবেদন জানিয়েছেন । তাঁর দাবি, বিজেপি উত্তরপ্রদেশে "বন্দুকের শাসন" দিয়ে সরকার চালাচ্ছে, আইনের শাসনে নয় ৷

6. কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেছেন যে, অপরাধীরা যাতে কঠোরতম শাস্তি পায় তা নিশ্চিত করার জন্য আদালত রয়েছে, তবে "আইনশৃঙ্খলা নিয়ে খেলা কেবল নৈরাজ্যের জন্ম দেয়"। হিন্দিতে একের পর এক টুইট বার্তায় খাড়গে বলেন, দেশের সংবিধান তৈরি করা হয়েছে সেই মানুষদের দ্বারা যারা স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন এবং এই সংবিধান ও আইন সর্বোপরি ।

তাঁর কথায়, "কারওকে এর সঙ্গে বিশৃঙ্খলা করার অনুমতি দেওয়া যাবে না । অপরাধীর শাস্তি নির্ধারণের অধিকার বিচার বিভাগের আছে । এই অধিকার কোনও সরকার, নেতা বা ব্যক্তিকে দেওয়া যাবে না যারা আইন লঙ্ঘন করে ৷ যারা বন্দুকের আইনের পক্ষে তারা কেবল সংবিধানকে ধ্বংস করে । কেউ যদি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সমাজের কারওকে ভয় দেখানোর জন্য এবং হুমকি দেওয়ার জন্য আমাদের বিচার ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করে, সেই ব্যক্তিও অপরাধীর সঙ্গে শাস্তি পাওয়ার যোগ্য ৷"

7. তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র বলেছেন, দেশকে "মাফিয়া রাজে" পরিণত করা হয়েছে । তিনি বলেন, "বিজেপি ভারতকে একটি মাফিয়া প্রজাতন্ত্রে পরিণত করেছে । আমি এটি এখানে বলব, আমি বিদেশে বলব, আমি এটি সর্বত্র বলব কারণ এটাই সত্যি । হেফাজতে থাকা 2 জন লোককে লক্ষ লক্ষ পুলিশ ও ক্যামেরার সামনে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে - এটি হল আইনের শাসনের মৃত্যু ৷"

8.উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব টুইটে লিখেছেন, উত্তরপ্রদেশে অপরাধ চরমে পৌঁছেছে এবং অপরাধীদের মনোবল তুঙ্গে । নিরাপত্তার কর্ডনে ঘেরা থাকা সত্ত্বেও যখন কারওকে প্রকাশ্যে খুন করা যায়, তখন সাধারণ জনগণের অবস্থা কল্পনা করা যায় । এর কারণে জনসাধারণের মধ্যে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে । মনে হচ্ছে, কিছু লোক ইচ্ছাকৃতভাবে এমন পরিবেশ তৈরি করছে ৷

9. আতিক এবং তাঁর ভাইকে হত্যাকারীরা নিজেদের মিডিয়া ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন ৷ তার প্রেক্ষিতে কেন্দ্র সাংবাদিকদের নিরাপত্তার জন্য স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর বা এসওপি প্রস্তুত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে । সাংবাদিকদের নিরাপত্তার জন্য এসওপি প্রস্তুত করবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ।

10. উমেশ পাল হত্যা মামলায় আতিক আহমেদকে প্রয়াগরাজ আদালত দোষী সাব্যস্ত করেছিল । গত মাসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়, তিনি আদালতে শুনানির জন্য প্রয়াগরাজ যাওয়ার পথে মিথ্যা 'এনকাউন্টারে' গুলিবিদ্ধ হওয়ার আশংকা প্রকাশ করেছিলেন । তখন তিনি সবরমতী কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন ।

আরও পড়ুন:'উত্তরপ্রদেশের নির্লজ্জ নৈরাজ্য ও আইনশৃঙ্খলার সম্পূর্ণ পতন দেখে হতবাক', আতিক খুনে তোপ মমতার

ABOUT THE AUTHOR

...view details