নাগপুর, 4 অক্টোবর: গত দু’দিন মহরাষ্ট্রের সরকারি হাসপাতালে রোগীর মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে । নান্দেড়ে সরকারি হাসপাতালে তিনদিনে 35 জনের মৃত্যু হয়েছে । ছত্রপতি সম্ভাজিনগরের ঘাটি হাসপাতালে 24 ঘণ্টার মধ্যে 18 জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে । এবার সামনে এল নাগপুরের সরকারি হাসপাতালে মৃত্যুর ঘটনা । নাগপুরের দু’টি সরকারি হাসপাতালে 24 ঘণ্টায় 25 জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে ।
নাগপুর সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল এবং ইন্দিরা গান্ধি কলেজে (মেয়ো হাসপাতাল) গত 24 ঘণ্টায় 25 জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে । সরকারি মেডিক্যাল কলেজে 16 জন এবং মেয়ো হাসপাতালে 9 জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে । মৃতদের মধ্যে কিছু নবজাতক-সহ বিভিন্ন বয়সের রোগী রয়েছে । প্রশাসন দাবি করেছে যে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন এবং ভেন্টিলেটরে থাকা রোগীদের পাঠিয়ে দেওয়ার কারণেই মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে ৷
এখন নাগপুর শহর মধ্য ভারতের চিকিৎসা কেন্দ্র হয়ে উঠেছে ৷ হাজার হাজার বেসরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি, নাগপুর সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল এবং ইন্দিরা গান্ধি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল (মেয়ো হাসপাতাল) নামে দু’টি মেডিক্যাল কলেজ শহরে রয়েছে । প্রতিবেশী মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় ও অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে রোগীরা নাগপুরের এই দু’টি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসেন ।
নাগপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে সুপার ড. শরদ কুচেওয়ার জানান, প্রতিদিন গড়ে 14 থেকে 16 জন রোগী মেডিক্যালে মারা যায় । মৃত্যুর সংখ্যা হঠাৎ করে বাড়েনি । এই হাসপাতাল মধ্য ভারতের বৃহত্তম সরকারি মেডিক্যাল কলেজ । বিদর্ভ-সহ প্রতিবেশী রাজ্য থেকে রোগীরা এই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসেন । এছাড়া যেসব রোগী বেসরকারি হাসপাতালে আশংকাজনক অবস্থায় থাকছে বা যাঁদের খরচ করার ক্ষমতা শেষ হয়ে গিয়েছে, তাঁদের এখানে রেফার করা হয় । তাই এখানে প্রতিদিন 14 থেকে 16 জন রোগী মারা যায় । হাসপাতালে সব ধরনের ওষুধের মজুদ রয়েছে বলে জানিয়েছেন ড. শরদ কুচেওয়ার ।
অন্যদিকে নান্দেড়ের যে হাসপাতালে রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে, সেখানে মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রের শিন্দে গোষ্ঠীর সাংসদ হেমন্ত পাটিল জোর করে ওই মেডিক্যাল কলেজের ডিনকে দিয়ে শৌচালয় পরিষ্কার করিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে ৷ ওই মেডিক্য়াল কলেজের ডিন এসআর ওয়াকোড়ে এই নিয়ে সাংসদ হেমন্ত পাটিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন । জানা গিয়েছে যে হাসপাতালে রোগীমৃত্যুর ঘটনা খতিয়ে দেখতে শিবসেনার সাংসদ হেমন্ত পাটিল ৷ অভিযোগ, সেই সময়ই তিনি ডিনকে দিয়ে শৌচালয় পরিষ্কার করান ৷
শিবসেনার শিন্ডে গ্রুপের সাংসদ হেমন্ত পাটিল (বাঁদিকে) ও নান্দেড় মেডিক্য়াল কলেজের ডিন এসআর ওয়াকোড়ে (ডানদিকে)৷ নান্দেড় মেডিক্য়াল কলেজের ডিনকে দিয়ে শৌচালয় পরিষ্কার করাচ্ছেন সাংসদ হেমন্ত পাটিল৷ আরও পড়ুন:মহারাষ্ট্রের সরকারি হাসপাতালে 2 দিনে 31 রোগীর মৃত্যু, কটাক্ষ অভিষেকের