মুম্বই, 3 নভেম্বর: ছয় মাস আগে ওয়ার্ধা জেলায় 25 বছর বয়সি এক যুবকের লালসার শিকার হয় 17 বছরের কিশোরী ৷ তার ফলে সে গর্ভবতী হয়ে পড়ে ৷ গর্ভপাতের অনুমোদন চেয়ে এ বার বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে নিগৃহীতা ৷ বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চের বিচারপতি অভয় মন্ত্রী, বিচারপতি অতুল চান্দুরকার নির্দেশ দিয়েছেন যে, বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের রিপোর্ট দেখে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে । অবিলম্বে ওই কিশোরীর শারীরিক পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হিঙ্গানঘাট সরকারি চিকিত্সক কমিটিকে ।
ছয় মাস আগে 17 বছরের ওই কিশোরীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল 25 বছরের এক যুবকের বিরুদ্ধে ৷ সেই ঘটনার কিছুদিন পরই গর্ভবতী হয়ে পড়ে সেই কিশোরী । তাঁর পরিবার সংশ্লিষ্ট থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন । এ ব্যাপারে পুলিশ পকসো আইনে মামলাও করেছে । কিশোরীর গর্ভপাতের জন্য চিকিৎসকের দ্বারস্থ হয় তার পরিবার ৷ কিন্তু চিকিৎসক জানিয়ে দেন যে, হাইকোর্টের অনুমতি ছাড়া এমন অবস্থায় গর্ভপাত করা যাবে না ।
চিকিৎসকের পরামর্শে নির্যাতিতার আত্মীয়রা তখন বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চের দ্বারস্থ হন । আইনজীবীরা তাঁদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন । সরকার পক্ষের আইনজীবী যুক্তি দিয়েছিলেন যে, 25 বছর বয়সি এক যুবক কিশোরীর যৌন হেনস্থা করার পরে সে গর্ভবতী হয়েছে । তাকে সরকারি হিঙ্গনঘাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে মেয়েটি 24 সপ্তাহের গর্ভবতী । তাই হাইকোর্টের অনুমতি ছাড়া গর্ভপাত করা যাবে না বলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে ওই কিশোরী ৷ ওই আইনজীবী আরও জানান, মেয়েটির অবস্থা গুরুতর। এ জন্য হাইকোর্টের অনুমতি প্রয়োজন । তাই উচ্চ আদালত এ বিষয়ে আদেশ দিলে গর্ভপাত হতে পারে ।