কালিম্পং, 28 জানুয়ারি: একটু নিরিবিলিতে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে আপনাদের জন্য রইল অফবিট ডেস্টিনেশনের খোঁজ ৷ ভ্রমণপিপাসু মানুষের যদি পছন্দ পাহাড় হয়, তাহলে দার্জিলিং-কার্শিয়াং-মিরিক অনেকেরই ঘোরা। তাই আপনাদের জন্য রইল এমন একটি জায়গার খোঁজ, যা অনেকেরই অচেনা। জায়গাটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর। পাহাড়ের কোলে, চা বাগানের মাঝে সুন্দর একটি গ্রাম। যেটা রাজ্যের শেষ পাহাড়ী সীমানায় অবস্থিত। তবে দার্জিলিংয়ে নয়। গ্রামটি কালিম্পংয়ে। নাম সাঙ্গসেরে ৷ চলতি কথায় সাঙ্গসের গ্রাম।
পাহাড়ের কোলে ছোট্ট এই গ্রামটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় পাঁচ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। যেখান থেকে ঘুমন্ত বুদ্ধকে চাক্ষুস করতে পারবেন পর্যটকরা। সাঙ্গসের গ্রামে গেলে একদিকে পাবেন অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য, অন্যদিকে দারুণ আবহাওয়া মন কাড়বে পর্যটকদের।
কীভাবে যাবেন সাঙ্গসেরে গ্রামে: নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে ছোট গাড়ি রিজার্ভ কিংবা শেয়ার করে নিতে পারেন ৷ কিংবা শিলিগুড়ি জংশন থেকে কালিম্পংগামী সরকারি বাস অথবা ছোট চারচাকা গাড়ি ভাড়াতেও পাওয়া যায় ৷ সরকারি বাসে যেতে অল্প খরচেই পৌঁছে যাওয়া যাবে কালিম্পংয়ে। সরকারি বাসে গেলে খরচ হবে মাথা পিছু 145 থেকে 150 টাকা। ছোট গাড়ি ভাড়া করলে মাথাপিছু খরচ হবে 250 থেকে 300 টাকা।
কালিম্পং পৌঁছে, কালিম্পং মোটর স্ট্যান্ড থেকে আবার ছোট গাড়ি ভাড়া করতে হবে। তবে যাঁরা গাড়ি রিজার্ভ করে যাচ্ছেন, তাঁদের আলাদা করে আর গাড়ি নেওয়ার প্রশ্ন ওঠে না ৷ কালিম্পং থেকে সাঙ্গসের গ্রামের দূরত্ব 11 কিলোমিটার। তবে এই গ্রাম থেকে সিকিমের রঙপোর দূরত্ব প্রায় 25 কিলোমিটার। মোটর স্ট্যান্ড থেকে ছোট গাড়ি বা টাটা সুমো ভাড়া করে গ্রামে যেতে খরচ হবে মাথাপিছু 800 থেকে 900 টাকা ৷ সবুজে ঘেরা মনোরম পাহাড়ের আঁকে-বাঁকে ঘুরতে ঘুরতে চড়াই উতরাই পথ পেরিয়ে এক থেকে দেড় ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছে যাবেন সাঙ্গসেরে গ্রামে ৷
কোথায় থাকবেন: অফবিট জায়গা হওয়ায় সাঙ্গসেরে গ্রামে বেশ কয়েকটি ব্রিটিশ আমলের বাংলো রয়েছে। তৈরি হয়েছে 11 থেকে 12টা হোম স্টে ৷ সেখানেও থাকতে পারবেন পর্যটকরা। তবে যাওয়ার আগে অবশ্যই বাংলো বা হোম স্টে বুক করে যাবেন ৷ হোম স্টে-তে মাথাপিছু খরচ হবে পনেরোশো টাকা। তাতে সকালের টিফিন, দুপুর ও রাতের খাবারও থাকবে।
দর্শনীয় স্থান: সাঙ্গসেরে গ্রামটি পাহাড়ের কোলে অবস্থিত। রয়েছে অপরূপ চা বাগান। পাশে রয়েছে পাহাড়ি রাস্তায় ট্রেকিংয়ের সুযোগ। অন্যদিকে, পাইন গাছে ঘেরা জঙ্গল। উপভোগ করতে পারবেন পাহাড়ি ঝরনার দৃশ্য ৷
আরও পড়ুন: