চেন্নাই, 30 জানুয়ারি: স্মার্টফোনের লক খুলতে মুখের বৈশিষ্ট্য, আঙুলের ছাপ এগুলো সাধারণত এক ব্যক্তিকে অন্যের চেয়ে আলাদা করে ৷ নিজে ছাড়া অন্য কেউ যাতে ফোনের লক খুলে ফেলতে না-পারে তাই স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা ফেসলক, আঙুলের ছাপ, প্যার্টান, পাসওয়ার্ড দিয়ে রাখেন ৷ তবে এবার ফোনের লক খুলতে আসছে আরও এক পরিচিতি ৷ তা হল- ব্রেথ আইডেনটিটি ৷ আইআইটি মাদ্রাজের বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, ফোন খুলে যাবে হৃদস্পদনে ৷
উল্লেখ্য, প্রাথমিকভাবে ফোন যখন আত্মপ্রকাশ করল, তখন নিউমেরিক বা প্যাটার্ন লকই ছিল ভরসা ৷ বিবর্তন হতে হতে পরবর্তীতে এল ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং আরও পরে ফেসলক ৷ আর এই ধরনের বায়োমেট্রিক যে শুধুমাত্র স্মার্টফোন বা এই ধরনের ডিভাইসেই ব্যবহার হয়, তা নয় ৷ এখন তো বিভিন্ন নিরাপত্তা ব্য়বস্থা থেকে শুরু করে অফিসিয়াল কাজেও ব্যবহৃত হয় বায়োমেট্রিক ৷ ব্যাংক থেকে আধার কার্ড সবেতেই এখন বায়োমেট্রিকের ব্যবহার ৷ তবে এরই মাঝে আইআইটি মাদ্রাজের বিশেষজ্ঞরা গবেষকরা দেখাচ্ছেন নিরাপত্তার নতুন পথ ৷
আইআইটি মাদ্রাজের মেকানিক্স এবং বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মহেশ পঞ্চগনুলার নেতৃত্বে ওই গবেষণা দলটি জানায়, কীভাবে একজন ব্যক্তিকে সনাক্ত করতে হৃদস্পদন ব্যবহার করা যেতে পারে। তারা আরও বলছেন, নয়া প্রযুক্তিতে বিজ্ঞান যখন এআই ব্যবহার করছে তাহলে স্মার্টফোন-সহ আরও অন্যান্য অ্যাপ্লিকেশনগুলোর উন্নতি হতে পারে ৷ সত্যিই যদি এই হৃদস্পন্দনকে বায়োমেট্রিক হিসেবে ব্যবহার করা যায়, তাহলে কিন্তু তা যুগান্তকারী হতে চলেছে ৷ তবে এর ফলে প্রতারণাও কমানে যাবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা ৷
ফিঙ্গারপ্রিন্ট থেকে শুরু করে ফেসলক মৃত ব্যক্তির ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা যায় ৷ কিন্তু ব্রিথ লকের ক্ষেত্রে কিন্তু তা সম্ভব নয় ৷ বহু ক্ষেত্রেই দেখা যায়, মৃত ব্যক্তির মোবাইল তাঁর হাতের ছাপ বা মুখের ছবি ব্যবহার করে খুলে ফেলা যাচ্ছে ৷ তবে ব্রিথ লকের ক্ষেত্রের সে সম্ভাবনা একেবারেই নেই ৷ এছাড়াও মানুষের ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা মুখের ছবি সংগ্রহ করা সম্ভব ৷ কিন্তু নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে অ্যালগরিদম সংগ্রহ করা কি সহজ হবে কোনও প্রতারণার পক্ষে? হয়তো তা হবে না ৷
আরও পড়ুন: