হায়দরাবাদ: ভারতের চন্দ্রযান-3 মিশন সাফল্য পেয়েছে ৷ চন্দ্রপৃষ্টের রহস্য উন্মেচনে এই মিশন ৷ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতেই প্রজ্ঞান রোভার একটি গর্ত আবিষ্কার করেছে । যেটি প্রায় 160 কিলোমিটার প্রশস্ত ৷ সম্প্রতি আহমেদাবাদের সায়েন্স ফিজিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানীরা সায়েন্স ডাইরেক্ট-এর সর্বশেষ সংখ্যায় এই তথ্য প্রকাশ করেছেন।
জওহরলাল নেহরু প্ল্যানেটরিয়ামে গেলে দেখা যাবে সূর্য যান 'আদিত্য-এল 1'
প্রজ্ঞান রোভারের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, প্রজ্ঞান রোভার যখন তার ল্যান্ডিং সাইট চালাচল করছিল ৷ দক্ষিণ মেরু-এটকেন বেসিন থেকে প্রায় 350 কিলোমিটার দূরে, চাঁদের সবচেয়ে বড় এবং প্রাচীনতম একটি গর্ত বা গুহ্বার সন্ধান পাওয়া গিয়েছে ৷ মনে করা হচ্ছে, গর্তটি দক্ষিণ মেরু-এটকেন অববাহিকা গঠনের আগে তৈরি হয়েছিল ৷ এটি চাঁদের প্রাচীনতম ভূতাত্ত্বিক গঠনগুলির মধ্যে একটি ৷ গর্তের বেশ পুরনো ৷ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চাঁদের এই অববাহিকায় থাকা গর্তের পরিবর্তন হয়েছে ৷ গর্ত বা গুহ্বার পাশাপাশি এলাকায় ক্ষয়ের চিহ্নের প্রমাণ ধরা পড়েছে প্রজ্ঞান রোভারে ৷
প্রজ্ঞান রোভারের নেভিগেশন এবং অপটিক্যাল হাই-রেজোলিউশন ক্যামেরার তোলা ছবি চন্দ্রপৃষ্ঠের প্রাচীন গর্তের ছবি চাঁদের ভূতাত্ত্বিক ইতিহাস সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ সূত্র প্রদান করতে পারে। ল্যান্ডিং সাইট ও চাঁদের দক্ষিণ মেরু নিয়ে বিজ্ঞানীদের গবেষণা দীর্ঘদিনের ৷ দীর্ঘদিন থেকে বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে জল ও অন্যান্য খনিজ পদার্থ থাকতে পারে ৷ এটকেন বেসিন প্রায় 14,00 মিটার বর্জ্য প্রদান করেছে ৷ এটিকেন বেসিনের চারপাশে থাকা অন্যান্য ছোট ছোট গর্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে ৷ চাঁদের পৃষ্ঠে ধূলিকণা এবং শিলার স্তরগুলি প্রাচীন রেগোলিথ চাঁদের গঠন এবং বিবর্তন বোঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
প্রজাতন্ত্র দিবসের ইসরোর ট্যাবলোয় চন্দ্রযান 3 থেকে আদিত্য এল-1
গর্ত-সহ প্রজ্ঞান রোভারের অনুসন্ধান সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীদের উৎসাহিত করেছে। এই প্রাচীন এবং অত্যন্ত গর্তযুক্ত অঞ্চল থেকে এটি সংগ্রহ করা ডেটা চাঁদের প্রাথমিক ইতিহাস এবং এর অনন্য ভূখণ্ডের গঠন সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের বুঝতে সাহায্য করবে ৷