আরামবাগ , 3 সেপ্টেম্বর: লাগাতার ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা নাবালিকা ৷ দোষী সাব্যস্ত যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল আরামবাগ মহকুমা আদালত । পাশাপাশি 10 হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে যুবককে ৷ দোষীর নাম সানাউল্লা খাঁ ওরফে রমজান । আদালতের রায়ে খুশি নির্যাতিতা ও তার পরিবার ।
নির্যাতিতার মা বলেন, "আমাদের টাকা পয়সা লাগবে না ৷ তবে আমরা দোষীর উপযুক্ত শাস্তির দাবি করেছিলাম । তাই এই রায়ে আমরা অনেকটাই খুশি ।"
সোমবার যুবককে দোষী সাব্যস্ত করা হয় । এ দিন তাকে আরামবাগ মহকুমা আদালতে নিয়ে আসা হয় । সেখানে অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট জাজ ফার্স্ট কোর্টের বিচারক শ্রী কিষাণ কুমার আগরওয়াল যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করেন । 2021 সালে ঘটনাটি ঘটেছিল ।
জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা নাবালিকা তার মা দাদা ও বউদির সঙ্গে থাকত । তার বাড়িতে রমজান রাজমিস্ত্রির কাজের সূত্রে যায় । যুবক সম্পর্কে ওই নাবালিকার বউদির ভাই । কাজ করতে গিয়েই ওই নাবালিকাকে লাগাতার ধর্ষণ করে ওই যুবক । পরে কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দেয় নাবালিকাকে । মা এবং দাদাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় যুবক । প্রথমে ভয়ে মুখ খোলেনি নির্যাতিতা । পরে 16 বছরের কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় ঘটনাটি জানাজানি হয়ে যায় ৷ এরপরেই পুরো ঘটনা পরিবারকে জানায় সে ।
নির্যাতিতা সেই সময় 5 মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল । 11 সেপ্টেম্বর 2021 সালে আরামবাগ থানায় অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতা । তার অভিযোগের ভিত্তিতে পকসো মামলা রুজু করে রমজানকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে গোঘাট থানার পুলিশ । সেদিন থেকে জেল হেফাজতে ছিল ওই যুবক । প্রাথমিকভাবে অভিযোগ অস্বীকার করলেও নির্যাতিতার গর্ভে থাকা শিশুর ডিএনএ টেস্টের পরই প্রমাণিত হয় যুবকের কারসাজি । তারপর থেকে 3 বছর মামলা চলার পর অবশেষে সাজা ঘোষণা হয় । যদিও অভিযুক্তের স্ত্রীর দাবি, তাঁর স্বামীকে ফাঁসানো হয়েছে । 3টি সন্তান রয়েছে তাঁদের । এমতাবস্থায় আদালতে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি ।