কলকাতা, 15 জুন: দিনের আলো ফোটার আগে শনিবার গুলি চলল শহর কলকাতায়। বাইকের রেষারেষিকে কেন্দ্র করে যুবককে গুলি করার অভিযোগ । ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার ভোর রাতে পার্কস্ট্রিট থানার আওতাধীন মির্জা গালিব স্ট্রিটে ৷ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জখম গুলিবিদ্ধ যুবকের নাম এখলাস বেগ ৷ বয়স 25 বছর ৷
গোটা ঘটনায় এলাকার বাসিন্দা সোনা নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে । এই বিষয় স্থানীয় থানায় গুলিবিদ্ধ যুবকের পরিবারের তরফে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে । তবে যেহেতু ঘটনাস্থল থেকে কোনও খোল উদ্ধার হয়নি তাই গুলি চলার বিষয়টি নিশ্চিত করেনি লালবাজার । ঘটনাস্থলে হাজির হয়েছে স্থানীয় থানার পুলিশের পাশাপাশি লালবাজারের গুণ্ডা দমন শাখার গোয়েন্দারা । ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোনার সঙ্গে এখলাসের দীর্ঘদিন ধরে শত্রুতা ছিল । তদন্তে নেমে পুলিশ পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ ঘেটে জানতে পারে, মির্জা গালিব স্ট্রিট এলাকায় রাত হলেই বাইক নিয়ে রোজই চক্কর কাটে সোনা এবং এখলাসের দলবল । অভিযোগ, রাতের মহানগরে বাইক নিয়ে চলে রেষারেষিও । একাধিকবার এলাকার বাসিন্দারা তাদের বারণ করার সত্ত্বে সোনা ও এখলাস বাইক রেষারেষি বন্ধ করেননি বলেও অভিযোগ । এরপর আজ ভোর রাতে শ্যুটআউটের অভিযোগ ওঠে ৷ তবে ঘটনার সূত্রপাত মধ্যরাত থেকেই বলে খবর।
তদন্তে নেমে পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, এ দিন এখলাসের দলের ছেলেদের সঙ্গে প্রথমে সোনার দলের ছেলেদের কোনও কারণে বচসা বাধে । পরে একে অপরকে বাইক নিয়ে তাড়া করে দুপক্ষ । তারপরে সোনা ও এখলাস বাইক নিয়ে রেষারেষি করতে করতে উভয়ই নাকি একে অপরের ধাক্কা মারে । অভিযোগ, এরপরেই সোনা একটি আগ্নেয়াস্ত্র বের করে এখলাসের ডান পা লক্ষ করে গুলি চালান । গুলি চালানোর পরেই এখলাসকে ফেলে রেখে সোনা এবং তাঁর দলবলেরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ ।
এলাকাবাসীরা এখলাসকে রাস্তার পড়ে থাকতে দেখে ৷ সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এসে ভরতি করা হয় । সেখানেই বর্তমানে তাঁর চিকিৎসা চলছে । আজ সকালে পার্কস্ট্রিট থানার পুলিশ এবং লালবাজারের গোয়েন্দারা হাসপাতালে গিয়ে এখলাসের সঙ্গে হাসপাতালে কথাও বলেন । তবে অভিযুক্ত সোনার হদিশ এখন পাওয়া যায়নি বলে লালবাজার সূত্রে খবর ।
কলকাতা পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, এর আগেও এলাকায় উত্তেজনা ছড়ানো ও মারধরে ঘটনায় সোনার নামে বেনিয়াপুকুর থানায় একাধিকবার লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে । শনিবার ভোর রাতের ঘটনায় রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা । পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে দুটি বাইক বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ । বাইকগুলি কার তা খতিয়ে দেখছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা । পাশাপাশি এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে কীভাবে সোনার কাছে আগ্নেয়াস্ত্র এল? গোটা ঘটনার তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েকজনকে আটক করেছেন গুণ্ডা দমন শাখার আধিকারিকেরা ।