হাড়োয়া, 12 জুলাই: বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলাকালীন মহিলাকে লক্ষ্য করে গুলি ৷ গুলিবিদ্ধ শম্পা দাস নামে ওই মহিলা কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। উত্তর 24 পরগনার হাড়োয়ায় বৃহস্পতিবারের ঘটনায় চাঞ্চল্য। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি পিস্তল ৷ ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি ৷
হাসপাতাল সূত্রে খবর, বছর 28-এর ওই মহিলার কোমরে গুলি লেগেছে। বর্তমানে এসএসকেএম-এর ট্রমা কেয়ারে চিকিৎসাধীন তিনি। কী কারণে তাঁকে গুলি করা হল তা এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। বিবাহবিচ্ছেদের মামলা নিয়ে টানাপোড়েনের জেরে এই ঘটনা কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ।
জানা গিয়েছে, হাড়োয়ার মোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম মোহনপুরে বাপের বাড়ি শম্পার। সেখানেই থাকছিলেন ওই মহিলা ৷ নিজের ঘরে শুয়ে ছিলেন ওই মহিলা। অভিযোগ রাতের বেলা জানলা দিয়ে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। ওই মহিলার চিৎকারে পরিবারের লোকজন ছুটে এলে আততায়ীর হাতে থাকা পিস্তলটি ফেলে চম্পট দেয় । শম্পাকে রক্তাক্ত অবস্থায় প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় মিনাখাঁ গ্রামীণ হাসপাতালে। পরে, সেখান থেকে তাঁকে স্থানান্তরিত করে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে। দুষ্কৃতীদের ফেলে যাওয়া পিস্তলটি রাতেই পুলিশ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ঘটনাস্থল থেকে। সেটি ফরেনসিকে পাঠানো হবে ৷
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে মিনাখাঁর ধুতুরদহ এলাকার বাসিন্দা কৃশানু সর্দারের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল শম্পার। বিয়ের কয়েকদিন পর থেকেই তাঁদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। তাঁদের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদের মামলাও চলছে। যার জেরে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে হাড়োয়ায় বাপের বাড়িতে চলে এসেছিলেন শম্পা। ঘটনার দিনও তিনি বাবার বাড়িতেই ছিলেন ৷ শ্বশুরবাড়ির থেকে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করছিল শম্পার বাপের বাড়ি। শ্বশুরবাড়ির তরফে তা দিতে অস্বীকার করা হয়। সেই টানাপোড়েনের জেরেই এই ঘটনা কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পণের দাবিতে অন্তঃসত্ত্বাকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ, বারুইপুরে তালাবন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার দেহ