ETV Bharat / state

প্রৌঢ়ার মৃত্যু ঘিরে রহস্য মালদায়, তদন্ত শুরু পুলিশের

পরিবারের দাবি, মানসিক অবসাদের কারণে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ছেলে এবং বউমাই তাঁকে খুন করেছেন আর তা নাতি দেখেছে ৷

MALDA WOMAN DEATH
শ্বশুরবাড়ির প্ররোচনায় মাকে খুন ছেলের? (নিজস্ব ছবি)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Nov 4, 2024, 4:15 PM IST

Updated : Nov 4, 2024, 4:22 PM IST

মালদা, 4 নভেম্বর: আত্মহত্যা নাকি খুন? প্রৌঢ়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পর এই প্রশ্নই ঘুরছে পুরাতন মালদার মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নজরপুর গ্রামে ৷ মৃতার ছেলের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ থাকায় মানসিক অবসাদের কারণে আত্মঘাতী হয়েছেন মহিলা ৷ এদিকে এলাকার মানুষজনের দাবি, ছেলে ও পুত্রবধূ শ্বাসরোধ করে ওই মহিলাকে খুন করেছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মালদা থানার পুলিশ ৷

বৃদ্ধার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে মালদা মেডিক্যালে ৷ এই ঘটনা ঘিরে সোমবার সকাল থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে গ্রামজুড়ে ৷ মৃত মহিলার নাম রত্না সরকার ৷ তাঁর বয়স 56 বছর ৷ নজরপুর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা ৷ স্বামী দীর্ঘদিন আগেই মারা গিয়েছেন ৷ বাড়িতে রয়েছেন একমাত্র ছেলে, পুত্রবধূ ও নাতি ৷

প্রৌঢ়ার মৃত্যু ঘিরে রহস্য মালদায় (ইটিভি ভারত)

পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, মালদা থানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে ৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না-পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা সম্ভব নয় ৷ আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ৷" পাশাপাশি পরিবারের সদস্য থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথাও বলছেন তদন্তকারীরা।

ছেলে সুব্রত বলেন, "মা দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ৷ নিয়মিত চিকিৎসা চলছিল ৷ শনিবারও চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ৷ তিনি জানিয়েছিলেন, মায়ের একটা অস্ত্রোপচার করতে হবে ৷ তবে এখনও সময় হয়নি ৷ বয়স 60 বছর হওয়ার পর সেই অপারেশন করা সম্ভব ৷ এরপর রবিবার রাতে মা প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন ৷ খবর পেয়ে দিদা রাতে আসেন ৷ এরপর সোমবার সকালে দিদা বাড়ি ফিরে গিয়েছেন ৷ সকালে খানিকক্ষণ ঘরে ছিলাম না ৷ ফিরে এসে দেখি, মা ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে ৷"

MALDA WOMAN DEATH
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মালদা থানার পুলিশ (নিজস্ব ছবি)

প্রতিবেশীদের অভিযোগ- যদিও প্রতিবেশীদের পাল্টা দাবি, রত্নাদেবী আত্মহত্যা করেননি ৷ তাঁকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ ছেলে ও পুত্রবধূ মিলেই এই কাজ করেছে ৷ প্রতিবেশী সন্ধ্যা বিশ্বাস অভিযোগ করেন, "রত্নাদিকে গলা টিপে খুন করার পর ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ পুরো ঘটনার সাক্ষী সুব্রতর ছেলে ৷ সে নিজে আমাদের বলেছে, তার বাবা ও মা ঠাকুমাকে খুন করেছে ৷ অনেকদিন ধরেই ওদের বাড়িতে ঝামেলা চলত ৷ ছেলে আর বউ প্রায়শই তাঁকে মারধর করত ৷"

তাঁর আরও অভিযোগ, এমনকী ছেলের শ্বশুরবাড়ির লোকজনও রত্নাদিকে মারত ৷ আমরা জানি, রত্নাদির সারা শরীরে মারের দাগ ছিল ৷ হাঁটুতে রক্ত জমে রয়েছে ৷ চোখের সামনে এসব অন্যায় দেখেও ছেলে কোনওদিনও প্রতিবাদ করেনি ৷ আমরা ওদের কঠোর শাস্তি চাইছি ৷ সন্ধ্যাদেবীর বক্তব্যকে সমর্থন জানান আরেক প্রতিবেশী সীমা সরকারও ৷ স্থানীয়দের অভিযোগ সম্পর্কে পুলিশের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।

মালদা, 4 নভেম্বর: আত্মহত্যা নাকি খুন? প্রৌঢ়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পর এই প্রশ্নই ঘুরছে পুরাতন মালদার মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নজরপুর গ্রামে ৷ মৃতার ছেলের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ থাকায় মানসিক অবসাদের কারণে আত্মঘাতী হয়েছেন মহিলা ৷ এদিকে এলাকার মানুষজনের দাবি, ছেলে ও পুত্রবধূ শ্বাসরোধ করে ওই মহিলাকে খুন করেছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মালদা থানার পুলিশ ৷

বৃদ্ধার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে মালদা মেডিক্যালে ৷ এই ঘটনা ঘিরে সোমবার সকাল থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে গ্রামজুড়ে ৷ মৃত মহিলার নাম রত্না সরকার ৷ তাঁর বয়স 56 বছর ৷ নজরপুর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা ৷ স্বামী দীর্ঘদিন আগেই মারা গিয়েছেন ৷ বাড়িতে রয়েছেন একমাত্র ছেলে, পুত্রবধূ ও নাতি ৷

প্রৌঢ়ার মৃত্যু ঘিরে রহস্য মালদায় (ইটিভি ভারত)

পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, মালদা থানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে ৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না-পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা সম্ভব নয় ৷ আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ৷" পাশাপাশি পরিবারের সদস্য থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথাও বলছেন তদন্তকারীরা।

ছেলে সুব্রত বলেন, "মা দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ৷ নিয়মিত চিকিৎসা চলছিল ৷ শনিবারও চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ৷ তিনি জানিয়েছিলেন, মায়ের একটা অস্ত্রোপচার করতে হবে ৷ তবে এখনও সময় হয়নি ৷ বয়স 60 বছর হওয়ার পর সেই অপারেশন করা সম্ভব ৷ এরপর রবিবার রাতে মা প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন ৷ খবর পেয়ে দিদা রাতে আসেন ৷ এরপর সোমবার সকালে দিদা বাড়ি ফিরে গিয়েছেন ৷ সকালে খানিকক্ষণ ঘরে ছিলাম না ৷ ফিরে এসে দেখি, মা ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে ৷"

MALDA WOMAN DEATH
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মালদা থানার পুলিশ (নিজস্ব ছবি)

প্রতিবেশীদের অভিযোগ- যদিও প্রতিবেশীদের পাল্টা দাবি, রত্নাদেবী আত্মহত্যা করেননি ৷ তাঁকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ ছেলে ও পুত্রবধূ মিলেই এই কাজ করেছে ৷ প্রতিবেশী সন্ধ্যা বিশ্বাস অভিযোগ করেন, "রত্নাদিকে গলা টিপে খুন করার পর ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ পুরো ঘটনার সাক্ষী সুব্রতর ছেলে ৷ সে নিজে আমাদের বলেছে, তার বাবা ও মা ঠাকুমাকে খুন করেছে ৷ অনেকদিন ধরেই ওদের বাড়িতে ঝামেলা চলত ৷ ছেলে আর বউ প্রায়শই তাঁকে মারধর করত ৷"

তাঁর আরও অভিযোগ, এমনকী ছেলের শ্বশুরবাড়ির লোকজনও রত্নাদিকে মারত ৷ আমরা জানি, রত্নাদির সারা শরীরে মারের দাগ ছিল ৷ হাঁটুতে রক্ত জমে রয়েছে ৷ চোখের সামনে এসব অন্যায় দেখেও ছেলে কোনওদিনও প্রতিবাদ করেনি ৷ আমরা ওদের কঠোর শাস্তি চাইছি ৷ সন্ধ্যাদেবীর বক্তব্যকে সমর্থন জানান আরেক প্রতিবেশী সীমা সরকারও ৷ স্থানীয়দের অভিযোগ সম্পর্কে পুলিশের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।

Last Updated : Nov 4, 2024, 4:22 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.