কলকাতা, 31 জুলাই: আবারও শহরে অঙ্গদানের নজির ৷ আলিপুরদুয়ারের কুমকুম চক্রবর্তীর সৌজন্যে জীবনদান পেলেন চার জন ৷ অঙ্গদানের পাশাপাশি দেহদানও করেছে কুমকুম চক্রবর্তীর পরিবার ৷ ওনার ছেলের কথায়, মায়ের বিষয় ছিল পদার্থবিজ্ঞান । আধুনিক ছিল চিন্তাভাবনা ৷ মায়ের ইচ্ছা ছিল, তাঁর মৃত্যুর পর দেহদান করতে ৷ কিন্তু এই বিষয়ে আমরা কথা খুব একটা বলতাম না ৷ তবে মায়ের ইচ্ছে থাকায় আমি এবং আমার বোন সিদ্ধান্ত নিয়েছি দেহ এবং অঙ্গদানের ।
66 বছর বয়সি কুমকুম চক্রবর্তীর একটি কিডনি দেওয়া হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালে । অন্য আরেকটি কিডনি গিয়েছে মুকুন্দপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে । এছাড়াও ওনার ত্বক ও কর্ণিয়া দেওয়া হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালে । এছাড়াও দেহ দান করা হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালের অ্যানাটমি বিভাগে ৷
কুমকুম চক্রবর্তী পেশায় ছিলেন আলিপুরদুয়ার বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা । 23 তারিখ আচমকাই বাড়িতে মাথা ঘুরে পড়ে যান । প্রথমে সেখানকার একটি লোকাল হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল ৷ তাঁর ছেলে তথাগত মুখোপাধ্যায় পেশায় চিকিৎসক ৷ শেঠ সুখলাল কারনানি মেমোরিয়াল হাসপাতাল অর্থাৎ এসএসকেএম হাসপাতালের নেফ্রোলজির চিকিৎসক ৷
তিনি বলেন, ‘‘আমি হাসপাতালে পৌঁছনোর পর মা’কে কোচবিহারের একটি হাসপাতালে রেফার করা হয় ৷ সেখানে সিটি স্ক্যান ও এমআরআই করা হয় । সেই রিপোর্ট দেখে আমি নিজেই মা’কে ভেন্টিলেশনে অ্যাম্বুলেন্সে করে এসএসকেএমে নিয়ে আসি ৷ 27 তারিখ সেখানে ভর্তি করা হয় । কিন্তু কিছু করা যায়নি । মঙ্গলবার মৃত্যু হয় তাঁর ।’’